ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের আগে সব ধর্মের ধর্মগুরুরা মিলে ‘মমতার ধর্ম’ সূচনা করলেন। ধর্ম গুরুদের পক্ষে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনামলে পুরোহিত থেকে ইমাম ভাতা, ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই সম্প্রীতির মানসিকতা, কন্যাশ্রী থেকে লক্ষীর ভাণ্ডার, সবুজ সাথী, স্বাস্থ্য একে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের উন্নতির লক্ষণ, বুদ্ধ পূর্ণিমা থেকে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল, বড়দিন থেকে রমজানের ইফতার, গুরু নানক জয়ন্তী থেকে মহাবীর জয়ন্তী সবকিছুতে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি ও প্রশাসনিক সহযোগিতা যা ‘মমতার ধর্ম’ রূপে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ সমস্ত কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধ ধর্মগুরুরা নিজেদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য কলকাতা প্রেসক্লাবে অভিনব সর্ব ধর্মের ঈষ্ট দেবতার প্রতীক একসঙ্গে রেখে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। এই প্রার্থনা সভার সভাপতি, টালিগঞ্জ সম্বোধি বিহারের বৌদ্ধ ধর্মগুরু ডাঃ অরুণ জ্যোতি ভিক্ষু সাংবাদিকদের জানান, সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে, অহিংসা, সম্প্রীতি পশ্চিমবঙ্গের সার্বিক উন্নয়নের জন্য আসন্ন ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় কামনা করে আমাদের এই প্রার্থনার আয়োজন।

আরও পড়ুন: “আপনার একটি ভোট আমার কাছে একটি চন্দ্র, সূর্য, তারা! চেতলায় নস্টালজিক মমতা
এই প্রার্থনা সভায় রামকৃষ্ণ-সারদা মিশনের শ্রীমৎ উত্তমানন্দ মহারাজ, খ্রিস্টান ধর্মের ফাদার রেভ. বিশপ ডাঃ শ্রীকান্ত দাশ , শিখ সমাজের প্রতিনিধি, বঙ্গবিভূষণ শ্রী বচ্চন সিং সরল, জৈন ধর্মের মুণিশ্রী মণি মহারাজ প্রমুখ সম্প্রতির লক্ষ্যে ‘মমতার ধর্মে’ স্বাগত জানান সকলকে।
