Farmers Agitation: কৃষক আন্দোলন কোন পথে? বৈঠক আজ 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) কেন্দ্রীয় তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেছেন। তবে দিল্লি (Delhi)-উত্তরপ্রদেশ (Uttarpradesh)-হরিয়ানা (Haryana) সীমান্তের টিকরি (Tikri), সিংঘু (Singhu) ও গাজিপুরে (Gazipur) কৃষক অবস্থান এখনও চলছে। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত:(Rakesh Tikait) বলেছেন, আমাদের ধরনা চলবে, কোনও রাজনৈতিক দলের নির্দেশে তা শেষ হবে না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করলেও যতক্ষণ না সংসদে আইন প্রত্যাহার হচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলন (Farmers Agitation) থেকে সরে আসার প্রশ্ন নেই। আমাদের ‘মিশন উত্তরপ্রদেশ’ অব্যাহত থাকবে। ২২ নভেম্বর লখনউতে কৃষক পঞ্চায়েত অনুষ্ঠিত হবে।

টিকাইত বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে কার্টুন বানানো হয়, মাওয়ালি বলা হয়। এইসব বিষয় পঞ্চায়েতে আলোচনা হবে। সরকারের উচিত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলা, তাতেই সমাধান আসবে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপির গ্যারান্টিও একটি বিষয়। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রেক্ষিতে আগামিদিনে আন্দোলন (Farmers Agitation) কোন পথে এগোবে, নাকি এখানেই ইতি টানা হবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে শনিবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে হয়েছে কৃষক সংগঠনগুলির। একটি বৈঠক হয়েছে পাঞ্জাবের ৩২টি কৃষক সংগঠনের। অন্য বৈঠকে ছিলেন সংযুক্ত কিসান মোর্চার ৯ সদস্যের মুখপাত্র কমিটি। রবিবার মোর্চার কোর কমিটির বৈঠক হবে। ওই বৈঠক থেকেই আগামী কর্মসূচি সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: Babul Supriyo: ত্রিপুরায় প্রচারে গিয়ে বিজেপির হাতে আক্রান্ত বাবুল সুপ্রিয়

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, সংযুক্ত কিসান মোর্চা কৃষকদের ২২ নভেম্বর লখনউ কিসান মহা পঞ্চায়েতে বিপুল সংখ্যায় উপস্থিত হওয়ার জন্য আবেদন করেছে। মোর্চা উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকদের ২৬ নভেম্বর বিভিন্ন ধরনাস্থলে পৌঁছনোর জন্য আবেদন করেছে। সেদিন দিল্লির সীমানা বরাবর একটানা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের এক পূর্ণ বছর পূর্ণ হবে। দিল্লি থেকে দূরে বিভিন্ন রাজ্যে ২৬ নভেম্বর প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে বিক্ষোভের সঙ্গে রাজধানীতে ট্রাক্টর এবং গরুর গাড়ির প্যারেড বের করা হবে। ২৮ নভেম্বর ১০০টিরও বেশি সংগঠনের সঙ্গে সম্মিলিত কৃষক শ্রমিক মোর্চার ব্যানারে মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে একটি বিশাল মহারাষ্ট্রকেন্দ্রিক কিসান-মজদুর মহা পঞ্চায়েতের আয়োজন করা হয়েছে। ২৯ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন ৫০০ জন বিক্ষোভকারীর একটি শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল মিছিল ট্রাক্টর ট্রলিতে করে সংসদে যাবে।

Previous articleCanning: ক্যানিংয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু TMC নেতার
Next articleCongress: বামেদের সঙ্গে জোট নয়, কলকাতা-হাওড়া পুরভোটে “একলা চলো” নীতি কংগ্রেসের