Wednesday, November 26, 2025

KMC 134: লড়াইয়ে TMC VS নির্দল, প্রার্থী নেই বাম-কংগ্রেস-বিজেপির

Date:

Share post:

কলকাতা পুরভোটে (KMC Election) হঠাৎ নজর কেড়েছে ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ড। এবার ভোটে পুরসভার বাকি ১৪৩টি ওয়ার্ডের তুলনায় একেবারেই আলাদা বন্দর এলাকার এই ওয়ার্ড। এবার এখানে শাসক তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে সরাসরি লড়াই তিন নির্দল (Independent) প্রার্থীর।

কিন্তু কেন?

রাজ্যের তিন স্বীকৃত তিন বিরোধী দলের প্রার্থী নেই ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে। সিপিএম (CPIM) ও কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী দেয়নি। আর প্রথমে মনোনয়ন দাখিল করেও পরে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন প্রধান বিরোধী দল বিজেপির (BJP) প্রার্থী মুমতাজ আলী। ফলে কলকাতা পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের সঙ্গে এবার লড়াই শুধু নির্দল প্রার্থীদের।

১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে এবারও তৃণমূল প্রার্থী করেছে শামস ইকবালকে। তিনি বিদায়ী কাউন্সিলর। ২০১৫ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন তৃণমূলের টিকিটে। কাজের মূল্যায়নের ভিত্তিতে এবারও তাঁর উপরেই ভরসা রেখেছে ঘাসফুল শিবির। আর বিরোধী দলের কোনও প্রার্থী না থাকায় নামমাত্র ভোট হতে চকেছে ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে। শামস ইকবালের জয় শুধু ঘোষণার অপেক্ষা।

আরও পড়ুন:দুপুরের ট্রেনে ৪দিনের জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী

যদিও তৃণমূল প্রার্থী এসব নিয়ে ভাবছেন না। তাঁর বক্তব্য, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে। সেখানে তাঁর দল তাঁকে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে। তিনি তাঁর মতো করে মানুষের কাছে যাচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজ্যজুড়ে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরছেন। একইসঙ্গে গত ৫-৬ তিনি ওয়ার্ডের জন্য যে কাজ করেছেন সেটাও প্রচারে আনছেন। মানুষ তাঁকে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করছেন বলেই জানালেন তৃণমূল প্রার্থী শামস ইকবাল। বিরোধীদের কাছেও উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে শামিল হওয়ার আবেদন জানাচ্ছেন।

সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপির প্রার্থী না থাকায় তাঁর কতটা সুবিধা হলো? এ প্রশ্নের উত্তরে শামস ইকবাল বলেন, বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার তাঁর ব্যক্তিগত ও তাঁর দলের বিষয়। আর সিপিএম, কংগ্রেস কেন প্রার্থী দিল না, সেটা তারাই বলতে পারবে। কাউকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার কোনওরকম অভিযোগ ওঠেনি। আসলে বিরোধীরা বুঝে গিয়েছে তাদের পাশে মানুষ নেই। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তাই কোনও সংগঠনও নেই। হতে পারে সেই কারণেই প্রার্থী দেয়নি বিরোধীরা।

এদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে তাদের প্রার্থী মুমতাজ আলীর
মনোনয়ন প্রত্যাহারের প্রসঙ্গে শাসক দলের বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ বিজেপি প্রার্থী মুমতাজ আলী। তাঁর দাবি, কেউ তাঁকে ভয় দেখায়নি। কেউ মনোনয়ন তুলে নিতে বাধ্য করেনি। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকেই তিনি এমন কাজ করেছেন।

দল তো তাঁকে টিকিট দিয়েছিল, তাহলে ক্ষোভ কোথায়?

মুমতাজ আলীর কথায়, তিনি ১৩৪ নয়, পাশের ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হওয়ার জন্য দলের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায় কথা দিয়েও বিজেপি তাঁকে ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছে।
দলের স্বার্থে মুখবুজে মনোনয়নপত্রও জমা দিয়েছিলাম মুমতাজ। কিন্তু তারপর থেকে শীর্ষ নেতৃত্ব কোনও যোগাযোগ রাখছে না। ফোনও তুলছে বা। তাই শেষপর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

spot_img

Related articles

ভেরিফিকেশন পর্ব শেষ: বৃহস্পতিবার শুরু এসএসি-র ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ডিসেম্বরের মধ্যে এসএসসি-তে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ করতে সব পদক্ষেপই নিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর...

চুক্তিভঙ্গ, যাত্রাভঙ্গ: হেলিকপ্টার সংস্থার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের

মুখ্যমন্ত্রীর মতুয়া গড়ে যাওয়া নির্দিষ্ট থাকলেও তাতে কী গুরুত্ব দেয়নি হেলিকপ্টার সংস্থা? শেষ মুহূর্তে তাদের বিমার সমস্যায় হেলিকপ্টারে...

কীভাবে SIR চক্রান্ত বাংলায়: বিজেপিকে তোপে বনগাঁ থেকে বোঝালেন মমতা

এসআইআরের নামে এনআরসি করার চক্রান্ত চলছে! এমনই তোপ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বনগাঁর জনসভা থেকে তিনি অভিযোগ করেন,...

মন্দিরবাজারের সভা থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ তৃণমূলের, শুভেন্দুকে কটাক্ষ সুদীপের

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের সভায় রবিবার জনস্রোত চোখে পড়ার মতো। সভার নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র সুদীপ...