আগামী বছর ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস(Indipendent day) পালন করবে গোটা দেশ। এমন দিনে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গ সেজে উঠতে চলেছে বিশেষ ভাবে। বৃহস্পতিবার নবান্নে মন্ত্রিসভার সদস্য ও বিদ্বজনেদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক বসে তারিখ খসড়া তৈরি করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন ২৬ জানুয়ারি ও ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা উপলক্ষে আয়োজিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠান। পাশাপাশি এদিনের বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী বছর রেড রোডে আয়োজিত হবে বিশ্ব সঙ্গীত মেলা। শ্যামবাজারে ‘জয়তু নেতাজি’ নামে হবে পদযাত্রা। মনীষীদের জন্মদিনে আলো দিয়ে বিশেষ ভাবে সাজানো হবে। পাশাপাশি স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ উপলক্ষে গান্ধীজীকে সম্মান জানিয়ে রাজ্যে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার কথাও বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিনের বৈঠক থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের সব তথ্য ডিজিটাইজ করা হবে। পলাশীর যুদ্ধ থেকে সিপাহী বিদ্রোহ, পাঠ্যপুস্তকে রাখতে হবে স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস। একই সঙ্গে তিনি এটাও জানান, কোনভাবেই ইতিহাসকে বিকৃত করা যাবে না। এছাড়াও এদিনের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মেদিনীপুরের মাটিতে তমলুকে গড়ে উঠেছিল স্বাধীন তাম্রলিপ্ত সরকার। স্বাধীনতা দিবসের দিন সেখানেও বিশেষ অনুষ্ঠান করবে করবে রাজ্য সরকার। ১৫ অগাস্ট থেকে ৭ দিন মনীষীদের স্মরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন:পুরবোর্ড তৈরির বৈঠকে সুব্রত-স্মৃতিচারণে ভারাক্রান্ত মমতা
এর পাশাপাশি এই স্বাধীনতা দিবসকে কীভাবে আরও সুন্দরভাবে পালন করা যায় তার জন্য বৈঠকে আমন্ত্রিত বুদ্ধিজীবিদের কাছ থেকেও এ বিষয়ে পরামর্শ নেন মুখ্যমন্ত্রী। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দেন রাজ্যে এমন বহু স্বাধীনতা আন্দোলনের গান রয়েছে যেগুলি লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গিয়েছে। এই গানগুলিকে পুনরায় তুলে আনার উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। পাশাপাশি অতিথির যে সকল গান রয়েছে সেগুলিকে নতুন করে গাওয়ার পথাও তিনি জানান। স্কুলগুলিতে পড়ুয়ারা যাতে স্বাধীনতা আন্দোলনকারীদের প্রতি আকৃষ্ট হয় তার জন্য পাঠ্যপুস্তকে বাংলার অখ্যাত স্বাধীনতা আন্দোলনকারীদের তুলে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই দিনের বৈঠকে মন্ত্রিসভার সদস্যদের পাশাপাশি গুণীজনেদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, ঐতিহাসিক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, যাদবপুর, কলকাতা সহ রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা।
