দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে সংক্রমণের হার উর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে শনিবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে একগুচ্ছ বিধির কথা ঘোষণা করেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhya)। কার্যত রাজ্যের মধ্যে তাঁর কেন্দ্রকে একটা মডেল হিসেবে তুলে ধরছেন অভিষেক। সেই বিধির মধ্যে ছিল, প্রত্যেক ওয়ার্ড ও পঞ্চায়েতে একটি করে কন্ট্রোল রুম (Control Room) চালু। অভিষেকের নির্দেশের ৪০ ঘণ্টার মধ্যেই খোলা হল কন্ট্রোল রুম।

তৃণমূল সাংসদের নির্দেশে, জেলা স্তরে বা মহকুমা স্তরের পরে এবার প্রতিটি ওয়ার্ডে ও পঞ্চায়েতে একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হল। অভিষেক জানিয়েছিলেন, ওই সব এলাকায় কারও করোনা উপসর্গ দেখা দিলে, তাঁরা কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতে পারেন। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হবে। তাঁর ঘোষণার ৪০ ঘণ্টার মধ্যেই সোমবার, কন্ট্রোল রুম চালু হল। এরপরই সেখানে উপস্থিত হন স্থানীয়রা। সম্পূর্ণ ভাবে কোভিড বিধি মেনে কন্ট্রোলরুম থেকে তাঁদের সাহায্য করা হয়।

সেদিন বৈঠক থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ডায়মন্ড হারবারে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোনও ধর্মীয় বা রাজনৈতিক সমাবেশ হবে না। তিনি বলেছিলেন, মানুষের জীবন অনেক দামী। এখন রাজনীতি নয়, জীবন এবং সমাজকে বাঁচাতে হবে। এই কারণে অভিষেক বলেন, সব জায়গাতেই মেলা-ভোট বন্ধ থাকুক- এটা তাঁর ব্যক্তিগত মত।

অভিষেক জানিয়েছিলেন, ডায়মন্ড হারবারে চালু হবে ডক্টর অন হুইলস। এলাকায় ঘুরবেন চিকিৎসকেরা। কারও কোভিডের উপসর্গ থাকলে, তাঁরা চিকিৎসকের কাছে যেতে পারবেন সহজেই। এর পাশাপাশি, বাড়িবাড়ি অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করার কথা বলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, ডায়মন্ড হারবার গোটা রাজ্যের সামনে মডেল হয়ে উঠছে।

আরও পড়ুন:দলের কেউ খোঁজ নেয়নি, মুখ্যমন্ত্রীর ফল-মিষ্টি পেয়ে আপ্লুত বিজেপি নেতা