দলের কেউ খোঁজ নেয়নি, মুখ্যমন্ত্রীর ফল-মিষ্টি পেয়ে আপ্লুত বিজেপি নেতা

মমতার পাঠানো ফল-শুভেচ্ছা বার্তা পেয়ে আপ্লুত বিজেপি নেতা!

বড় পদাধিকারী না হলেও তিনি বিজেপির অত্যন্ত পরিচিত মুখ। ভিন রাজ্যে দলের জয়ে কলকাতার মানুষকে কমলা রসগোল্লা খাওয়ানো হোক বা অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে লাড্ডু বিতরণ – তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি থাকেই।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে আপাতত ঘরবন্দি বিজেপি নেতা নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়। এখনও নিজের দলের কোনও নেতানেত্রী তাঁর খোঁজখবর নেয়নি। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া ফল এবং শুভেচ্ছাবার্তা নিয়ে তাঁর বাড়িতে হাজির কাউন্সিলরের লোকজন। এতে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত নারায়ণ। মুখ্যমন্ত্রীর ফলের ডালি ফেসবুকে পোস্ট করে তৃণমূলনেত্রীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষের এই অনুগামী।

ফেসবুকে তিনি লিখেছেন , আমাকে এবং আমার পরিবারকে এই উপহার পাঠানোর জন্য দিদি ও দাদা, দু’জনকেই অসংখ্য ধন্যবাদ। নিজের এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর বিজয় উপাধ্যায়কেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন- Novak Djokovic: বিরাট স্বস্তি জোকোভিচের, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে বাধা নেই জোকারের

নারায়ণবাবু বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর উপহার পেয়ে আমি বিস্মিত এবং অবাক। এই বিপদের দিনে উনি যে আমাদের মতো লোকের কথা মনে রেখেছেন, এটা অভাবনীয় ব্যাপার। প্রকৃত মানুষের কাজ করছেন। বলতে খারাপ লাগছে, আমার দলের কেউ খোঁজ নেয়নি।

৩১ বছর ধরে আমি বিজেপি করেছি। অটলজি আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনতেন। প্রত্যেক দিওয়ালিতে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠাতেন। মায়ের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিপদের দিনে আমাকে কেউ মনে রাখেনি।
করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে বাড়িতে শুকনো খাবার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নবান্ন। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সমস্ত জেলা শাসকদের নির্দেশ দেন মাথাপিছু তিন কেজি করে চাল, দেড় কেজি ডাল, এক কেজি মুড়ি, পাঁচ প্যাকেট বিস্কুট দিয়ে প্যাকেট তৈরি করতে। এদিকে কলকাতাতেও যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের বাড়িতে ফলের ঝুড়ি পাঠাচ্ছে রাজ্য সরকার। এদিন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতেও ফল ও শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Previous articleউপত্যকায় ফের বড় সাফল্য সেনার, গুলির লড়াইয়ে খতম দুই জঙ্গি
Next articleগোয়ায় বড় ধাক্কা বিজেপির, ক্ষোভ উগরে নির্বাচনের আগে দল ছাড়লেন রাজ্যের মন্ত্রী