Thursday, December 25, 2025

কোভিড পরীক্ষা নিয়ে নয়া নির্দেশিকা দিল আইসিএমআর

Date:

Share post:

দেশ জুড়ে করোনার সংক্রমণের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতে করোনা পরীক্ষা নিয়ে নতুন করে বিস্তারিত গাইডলাইন দিল কেন্দ্র। নয়া নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, করোনা আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে আসলেই কোভিড টেস্ট করানোর কোনও প্রয়োজন নেই। যতক্ষণ না পর্যন্ত হাই-রিস্কে থাকা কোনও ব্যাক্তির সঙ্গে আক্রান্তের দেখা হচ্ছে।
আইসিএমআর জানিয়েছে, লক্ষ্মণ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে সঙ্গে চিহ্নিত করা হোক এবং দ্রুত আইসোলেশনে পাঠানো হোক। একই সঙ্গে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। বয়স্ক এবং অন্যান্য অসুখ রয়েছে এমন আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে টেস্টিংয়ে দ্রুততা আনতে হবে । চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী এই সবক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষা করা যাবে। হাসপাতালে টেস্টিংয়ের ক্ষেত্রে সার্জারি কিংবা ডেলিভারি প্রক্রিয়াতে রয়েছে এমন রোগিদের দেরি না করার কথা বলা হয়েছে। যতটা সম্ভব রেফার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, লক্ষ্মণ নেই এমন লোকেদের করোনা পরীক্ষা করার দরকার নেই। করোনা রোগীদের কাছে আসলেও করোনা পরীক্ষা করার দরকার নেই যতক্ষণ না পর্যন্ত বয়স কিংবা কোমোর্বিটি হিসাবে High Risk হিসাবে ওই ব্যক্তিকে দেখা না হচ্ছে। যে সমস্ত ব্যক্তি হোম আইসোলেশনের গাইডলাইন মেনে ডিসচার্স হয়েছেন তাঁর আর করোনা পরীক্ষা করার দরকার নেই। নিয়ম মেনে যে সমস্ত ব্যক্তি হাসপাতাল কিংবা করোনা কেন্দ্র থেকে ছুটি পাচ্ছেন তাঁর আর করোনা পরীক্ষা করার দরকার নেই। অন্য রাজ্যে ট্রাভেল করার ক্ষেত্রেও করোনা পরীক্ষা করার দরকার নেই।

আরও পড়ুন- এবার হাত শিবিরকে ‘দ্বিচারী’ তকমা দেওয়া হল তৃণমূলের মুখপত্র জাগোবাংলায়

করোনা টেস্ট যাদের বাধ্যতামূলক করা হয়েছে- লক্ষ্মন রয়েছে যেমন জ্বর, কাশি, স্বাদ না পাওয়া, শ্বাস নিতে সমস্যা হলে এখনই করোনা পরীক্ষা করান। হাই রিস্কে থাকা কোনও ব্যক্তি যদি করোনা আক্রান্তের কাছাকাছি আসেন তাহলে অবশ্যই পরীক্ষা করতে হবে। বিদেশে যাত্রা করছেন কিংবা দেশে ফিরছেন। নিয়ম অনুযায়ী করোনা পরীক্ষা করতেই হবে।
এমন সিদ্ধান্তের কারন হিসাবে জানা গিয়েছে, ল্যাবগুলির অনেক টেকনিশিয়ান, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, মাইক্রো বায়োলজিস্ট, চিকিৎসক, প্যাথোলজিতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরও অধিকাংশ সংক্রমিত। এই মুহূর্তে টেস্টিংয়ের পরিকাঠামোর ওপর যতটা সম্ভব চাপ কমানো যায়, সেটা অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। যে পরিমাণ আক্রান্তের সংখ্যা, তাতে ওতটা পরিমাণ পরীক্ষা করানোর মতো পরিকাঠামো বর্তমানে নেই। তবে যে নির্দেশিকা বের হচ্ছে, তা সম্পর্কে কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের ওয়াকিবহাল হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে ভোগান্তি হবে।

spot_img

Related articles

এক দশক পর শীতলতম বড়দিন পেল বাংলা!

যিশু জন্মদিনের সকালে (Christmas morning) কলকাতার তাপমাত্রা (Kolkata temperature) নামলো ১৩.৭ ডিগ্রিতে। শীতের আমেজে জমজমাট বড়দিনের আবহাওয়া। দক্ষিণবঙ্গে...

মধ্যরাতে কর্নাটকের ট্রাক-বাসের ভয়াবহ সংঘর্ষে ঝলসে মৃত্যু অন্তত ১০ জনের

বড়দিনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা কর্নাটকে। বেসরকারি একটি বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষের (bus truck accident) ফলে বাসে আগুন ধরে যাওয়ায়...

ক্রিসমাসে রক্তাক্ত ঢাকা, চার্চ টার্গেট করে বিস্ফোরণে মৃত ১

বড়দিনের উৎসব শুরু হবার আগেই বুধবার সন্ধ্যায় ককটেল বিস্ফোরণে রক্তাক্ত বাংলাদেশের ঢাকা (Blast in Dhaka, Bangladesh)। মগবাজার ফ্লাইওভারে...

ক্রিসমাসে ঝলমলে পার্কস্ট্রিট, সান্টা টুপি মাথায় বড়দিনের সকালে পিকনিক মুডে বাঙালি

দেখতে দেখতে বছর প্রায় শেষ হতে চলল। ক্রিসমাসের মধ্য দিয়েই যেন বর্ষবরণের আনন্দ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়ে যায়। বড়দিনের...