বেনজির! বিধানসভার অধিবেশন ভন্ডুল করতে চেয়ে চূড়ান্ত নাটক বিজেপি-র। সোমবার, প্রথা মেনে প্রথমে বি আর আম্বেদকারের মূর্তিতে মালা দেন রাজ্যপাল, স্পিকার ও মুখ্যমন্ত্রী। এরপর অধিবেশন কক্ষে ঢোকেন তাঁরা। বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরুর প্রক্রিয়া হয়। কিন্তু রাজ্যপালের স্বাগত ভাষণের আগেই ওয়েল নেমে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা। রাজ্যে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ভাষণ দিতে না পেরে বারবার চলে যেতে চান রাজ্যপাল। কিন্তু রাজ্যপাল যদি বাজেট অধিবেশনের স্বাগত ভাষণ না দিয়ে চলে যান, তাহলে সাংবিধানিক জটিলতা দেখা দেবে। এই কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Benarjee) নিজে তাঁকে হাতজোড় করে ভাষণের শেষ লাইন পড়ে দিতে অনুরোধ করেন। তৃণমূলের মহিলা বিধায়করাও রাজ্যপালকে বারবার অনুরোধ করতে থাকেন।

এই পরিস্থিতিতে স্পিকার গোলমাল থামতে বারবার উদ্যোগ নেন। কিন্তু বিজেপি বিধায়করা সেই কথায় কর্ণপাত করেননি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে চলতে থাকে স্লোগান।

এই পরিস্থিতিতে একবার দেখা যায় পরিষদীয় মন্ত্রীর পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকে কথা বলেন রাজ্যপাল। কিন্তু বিক্ষোভ থামার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। এরপরে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষের সব দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। শেষে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ মেনে ভাষণের শেষ লাইন পড়ে বেরিয়ে যান রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন:BJP Meeting: বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠকে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়

দুটো থেকে তিনটে বিধানসভায় থাকার কথা ছিল রাজ্যপালের। তিনটে বাজার কয়েক মিনিট আগেই রাজ্যপালের বিদায়ের বিউগল বেজে ওঠে। তার মধ্যেই স্বাগত ভাষণের শেষ লাইন পড়ে সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা পালন করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar)। এরপর বেরিয়ে যান তিনি। প্রথা মেনে বেরিয়ে এসে তাঁকে বিদায় জানান অধ্যক্ষ ও মুখ্যমন্ত্রী। তবে, তখন অধিবেশন ঘিরে বিক্ষোভ চালাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা।
