প্রতিবাদের নাম সফদর হাশমি চেতনার নাম….
এবং
আমাকে হত্যা করে কি
পেরেছো রুখতে…

এই দুটি মৌলিক গানের মাধ্যমে উদ্বোধিত হলো শহীদ সফদর স্মরণ সন্ধ্যা। আসানসোল প্রত্যয়ীর ব্যবস্থাপনায় রবীন্দ্র ভবনের বিপরীতে হাটতলায় প্রচুর দর্শকের সামনে খোলা আকাশের নীচে অনুষ্ঠিত হলো এক মনভরানো সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। শুরুতেই উৎপল সিনহার কথা ও সুরে সফদরের জীবন ও সংগ্রামের ওপরে রচিত দুটি মৌলিক গান চমৎকারভাবে গেয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করে তোলেন শিল্পাঞ্চলের বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী বিজু বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গীত পরিবেশন করেন কানাইলাল কারফর্মা।

চমৎকার কবিতাপাঠ করেন সম্বৃতা দাশরায় ও প্রিয়াঙ্কা মাজি।

বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব গৌতম ভট্টাচার্য্য সফদরের জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে অনবদ্য বক্তব্য রাখেন।
এর পরে প্রত্যয়ীর শিল্পীরা অভিনয় করেন নাটক ‘সাজিশ ‘। রচনা ও নির্দেশনায় উদয়ন চট্টোপাধ্যায়। দুর্দান্ত অভিনয় করেন পুলিশের ভূমিকায় দীপঙ্কর সরকার এবং সফদরের অন্যতম হত্যাকারীর ভূমিকায় অর্ঘ্য চক্রবর্তী। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য অভিনয় করেন বিজয় ভট্টাচার্য্য, রেজাউল করিম, সুব্রত শর্মা, পায়েল শর্মা, মৌ রায় ও পলি চট্টোপাধ্যায়।

তারপর চর্যাপদের শিল্পীরা কাজী নজরুলের ‘ বিদ্রোহী ‘ কবিতাটির অসাধারন নৃত্যায়ণে দর্শকদের মুগ্ধ করেন। কবিতায় রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী এবং নৃত্য নির্দেশনায় সায়ন্তী চট্টোপাধ্যায় প্রশংসিত হন। এরপরে অমিয় মেমোরিয়াল ক্রিয়েটিভ আর্টসের শিল্পীরা পরিবেশন করেন নৃত্যাভিনয়। তাঁদের প্রযোজনা ‘ হচ্ছে ভোর কাটছে ঘোর ‘। আহেলী গুহ ও তাঁর দুই সঙ্গী অনবদ্য।

সবশেষে পরিবেশিত হয় সতীর্থ নাট্যসংস্থার সাড়া জাগানো প্রযোজনা দেবেশ ঠাকুরের নাটক ‘ প্রথম পাঠ। নির্দেশনা বাণীব্রত রাজগুরু। উল্লেখযোগ্য অভিনয় করেন বাসন্তী মিশ্র, আভাস ভট্টাচার্য্য, কৃষ্ণেন্দু ঘটক, কুণাল রায় ও অরূপ মুখোপাধ্যায়।
সংস্কৃতিপ্রেমী দর্শকবৃন্দকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রত্যয়ীর অন্যতম কর্ণধার অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন আসানসোল পৌরনিগমের ডেপুটি মেয়র মাননীয় শ্রী অভিজিৎ ঘটক।

আরও পড়ুন- হাতের মুঠোয় শিক্ষা: এমএনএম গ্রুপ অফ এডুকেশন
