ব্যস্ত রাস্তা। চলছে একের পর এক গাড়ি। আর সেই রাস্তাতেই প্রকাশ্যে এক যুবককে নৃশংস ভাবে কোপাচ্ছে তিন দুষ্কৃতী। বাঁচার জন্য অসহায় যুবকের করুণ আর্তি। সেই তা পৌঁছল না কারও কানেই। বাঁচাতে এগিয়ে এল না কেউ। দুষ্কৃতী হামলায় মৃত্যু হল ওই যুবকের। এমনই অমানবিক, নৃশংস, মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী যোগীর ডাবল ইঞ্জিন উত্তর প্রদেশের মীরাট। এই নৃশংস হত্যার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যা দেখে আঁতকে উঠছেন নেটিজেনরা।
আরও পড়ুন:জামিন পেয়েও জেলবন্দি জিগনেশ মেবানি! অপরাধ কী? স্পষ্ট করে জানে না পুলিশও
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবককে রাস্তায় ফেলে তিনজন বেধড়ক মারধর করছে। সেই সময় তাঁর আশপাশ দিয়ে গাড়ি ও পথচলতিরা যাতায়াত করছিল। দুষ্কৃতীরা কিছুটা দূরে চলে গেলে রাস্তায় উঠে বসেন ওই যুবক। তখনও তাঁকে কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি। কিছুক্ষণের মধ্যে যুবকের মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফের এক দুষ্কৃতী এগিয়ে এসে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে হলতাঁকে। রাস্তাতেই মৃত্যু হয় যুবকের।
এই ঘটনায় ব্রহ্মপুরী থানার পুলিশ তদন্তে নামে। মৃত ওই যুবকের নাম সাজিদ। সে ইত্তেফাক নগরের বাসিন্দা। খুনের কারণ হিসেবে সাজিদের বাবার দাবি, তাঁর ছেলেকে খুন করেছে তিন কাকা নওশাদ, জাভেদ ও শাহজাদ। কাকারা বাড়িতে বসে মদ্যপান করত। তার প্রতিবাদ করতেন সাজিদ।সেই রাগ থেকেই এই নির্মম হত্যাকাণ্ড।
পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন মনে করা হলেও, প্রকাশ্য ব্যস্ত রাস্তায় কেন ওই যুবককে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে এলেন না? কেন সময় মত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারল না পুলিশ? যোগীর ডবল ইঞ্জিন সরকারের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠল।
