তিনি নিজেকে ভালোবাসেন আর তাই বিয়ে করতে চেয়েছেন নিজেকেই। নিজেই সদর্পে ঘোষণা করেছিলেন বিয়ের কথা। সেইমতো স্যোশাল মিডিয়ায় (Social Media)ভাইরাল হয়েছিল তাঁর বিয়ের তারিখ। গুজরাতের (Gujrat)বাসিন্দা ২৪ বছরের তরুণী ক্ষমা বিন্দুকে (Kshama Bindu) নিয়ে জল্পনা সমালোচনা সবটাই ছিল। তাঁর ‘নিজগামী’ (Sologamy)সম্পর্ক নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে, গোটা দেশের ক্ষেত্রে এটা নজিরবিহীন। কিন্তু গোটা বিষয়টি সামনে আসতেই বিরোধিতা করে সরব গেরুয়া শিবির (BJP), দেওয়া হয়েছিল হুমকি। কিন্তু সেই সবের তোয়াক্কা না করেই বিয়ে (Marrige) সারলেন ক্ষমা (Kshama Bindu)।

নিজেকে নিজে বিয়ে করতে চাওয়া হিন্দু ধর্মের বিরোধী, তাই কোনও মন্দিরে তাঁকে বিয়ে করতে দেওয়া হবে না। গুজরাতি কন্যা ক্ষমা বিন্দুকে এমনই হুমকি দিয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী সুনীতা শুক্লা (Sunita Shukla)। তাঁকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখালেন ২৪ বছরের তরুণী। প্রাথমিক ভাবে ১১ জুন বিয়ে করার কথা ভাবলেও শেষ পর্যন্ত দু’দিন আগেই বিয়ে সেরে ফেললেন বিন্দু। গায়ে হলুদ থেকে বিয়ে – সবটাই হল জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে। বিয়ের আচারে কোনও রকম বদল হয়নি। সব উপচার মেনে প্রায় মিনিট চল্লিশ ধরে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। গায়ে হলুদ থেকে মেহেন্দি – সব হয়েছে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই। ঘনিষ্ঠদের উপস্থিতিতেই নিজের সঙ্গে নিজের সাতপাক সম্পূর্ণ করেছেন ক্ষমা বিন্দু (Kshama Bindu)। এর আগে তাঁর বিয়ের কথা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি নেত্রী সুনীতা শুক্লা হুমকি দেন ক্ষমাকে। নেত্রী দাবি করেন, এমন কাজ করলে হিন্দুদের জনসংখ্যা কমে যাবে। পাশাপাশি কোনও মন্দিরে তাঁকে বিয়ে করতে দেওয়া হবে না বলেও ঘোষণা করেন তিনি। কিন্তু সেইসবের তোয়াক্কা না করে নিজের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন গুজরাতের ওই তরুণী। বিবাহ অনুষ্ঠানের ছবি তিনি শেয়ার করে নেন স্যোশাল মিডিয়ায়।