Tuesday, August 26, 2025

Padma Bridge: স্বপ্ন হলো সত্যি, খরস্রোতা পদ্মার উপরে সেতু চালু হাসিনা সরকারের

Date:

Share post:

খায়রুল আলম, ঢাকা: প্রতীক্ষার পালা শেষ। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। অ্যামাজনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় খরস্রোতা নদী এই পদ্মা।

মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় শনিবার সকালে সুধী সমাবেশে যোগ দিয়ে সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে অনুষ্ঠান শেষে সেতুর ফলক উন্মোচন করেন সরকারপ্রধান। এদিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন এই সেতু উদ্বোধন এর ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দূরত্ব অনেক কমে যাবে। বাড়বে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক।

পদ্মা সেতুকে সিমেন্ট, পাথরের নেহায়েত একটি স্থাপনা হিসেবে দেখছেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ার পর থেকে নানা ঘাত প্রতিঘাতের কথা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, এটি বাঙালি জাতির গর্ব, মর্যাদা, সক্ষমতা ও সাহসের প্রতীক। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক যোগাযোগের প্রধান বাধা পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন শেখ হাসিনা। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে সেটি এগিয়ে নেন। দুই যুগের বেশি সময়ের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। নিজের বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্ঠে উচ্চারণের সুরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতুর ৪২ টি স্তম্ভ বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। বঙ্গবন্ধু আমাদের বলেছিলেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না, কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি। আমরা বিজয়ী হয়েছি।’

পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি হলেও নানা ঘটনাপ্রবাহের কারণে পরে নিজস্ব অর্থে সেতু নির্মাণ করে সরকার। শুরুতে কেবল সড়ক সেতু নির্মাণের চিন্তা থাকলেও পরে তাকে যুক্ত করা হয়েছে রেল। আর এক তলার বদলে নির্মিত হয়েছে দ্বিতল সেতু। পুরোটা কংক্রিটের বদলে নির্মিত হয়েছে স্টিল স্ট্রাকচারড সেতু।

২০০১ সালের ৪ জুলাই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এ সেতুর ওপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে মূল অবকাঠামো তৈরি করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।

পদ্মা সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি।

বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার স্বপ্নের কাঠামো নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।

আরও পড়ুন:যাদবপুরের বিশাখকে একই সঙ্গে ফেসবুক- গুগলের কোটি টাকার চাকরির প্রস্তাব

 

 

spot_img

Related articles

প্রাথমিক টেট-এর তথ্য ফাঁস হয়নি, বিভ্রান্তি কাটিয়ে জানালো পর্ষদ

নতুন জালিয়াতির বিরুদ্ধে কড়া রাজ্যের শিক্ষা দফতর। প্রাথমিক টেট-এর (Primary TET) তথ্য ফাঁস হওয়া নিয়ে নতুন করে বিভ্রান্তি...

ট্রাম্পের ছোঁয়া পলকাটা হিরেতে! মোদির গুজরাটেই বেকার অন্তত ১ লক্ষ শ্রমিক

বন্ধুত্বের বাহানায় বিপুল ক্ষতির মুখে গোটা দেশকে ঠেলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পের বসানো শুল্কের...

ভয় পেয়েই কুকথা শান্তনুর! ফাঁস মতুয়াদের নিয়ে নোংরা রাজনীতি

মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি করতে মাঠে নেমেছিলেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে আধিপত্য কায়েমে বিজেপির নোংরা রাজনীতি দীর্ঘদিনের। ঠাকুরবাড়ির...

নীরবে প্রস্তুতি শামির, দলীপ দিয়েই কামব্যাকের লড়াই

কয়েকদিন আগে এশিয়া কাপের(Asia Cup) দল ঘোষণা হয়েছে। সেখানে সুযোগ পাননি মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। ভারতীয় দলে তিনি ফিরবেন...