Sunday, November 16, 2025

Padma Bridge: স্বপ্ন হলো সত্যি, খরস্রোতা পদ্মার উপরে সেতু চালু হাসিনা সরকারের

Date:

Share post:

খায়রুল আলম, ঢাকা: প্রতীক্ষার পালা শেষ। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। অ্যামাজনের পর বিশ্বের দ্বিতীয় খরস্রোতা নদী এই পদ্মা।

মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় শনিবার সকালে সুধী সমাবেশে যোগ দিয়ে সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে অনুষ্ঠান শেষে সেতুর ফলক উন্মোচন করেন সরকারপ্রধান। এদিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন এই সেতু উদ্বোধন এর ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দূরত্ব অনেক কমে যাবে। বাড়বে ব্যবসায়ীক সম্পর্ক।

পদ্মা সেতুকে সিমেন্ট, পাথরের নেহায়েত একটি স্থাপনা হিসেবে দেখছেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ার পর থেকে নানা ঘাত প্রতিঘাতের কথা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, এটি বাঙালি জাতির গর্ব, মর্যাদা, সক্ষমতা ও সাহসের প্রতীক। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক যোগাযোগের প্রধান বাধা পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন শেখ হাসিনা। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে সেটি এগিয়ে নেন। দুই যুগের বেশি সময়ের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। নিজের বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্ঠে উচ্চারণের সুরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতুর ৪২ টি স্তম্ভ বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। বঙ্গবন্ধু আমাদের বলেছিলেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না, কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি। আমরা বিজয়ী হয়েছি।’

পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি হলেও নানা ঘটনাপ্রবাহের কারণে পরে নিজস্ব অর্থে সেতু নির্মাণ করে সরকার। শুরুতে কেবল সড়ক সেতু নির্মাণের চিন্তা থাকলেও পরে তাকে যুক্ত করা হয়েছে রেল। আর এক তলার বদলে নির্মিত হয়েছে দ্বিতল সেতু। পুরোটা কংক্রিটের বদলে নির্মিত হয়েছে স্টিল স্ট্রাকচারড সেতু।

২০০১ সালের ৪ জুলাই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এ সেতুর ওপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে মূল অবকাঠামো তৈরি করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।

পদ্মা সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি।

বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দেয় সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার স্বপ্নের কাঠামো নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।

আরও পড়ুন:যাদবপুরের বিশাখকে একই সঙ্গে ফেসবুক- গুগলের কোটি টাকার চাকরির প্রস্তাব

 

 

spot_img

Related articles

বাংলাদেশের জেলে কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীর রহস্যমৃত্যু, পরিকল্পনা করে খুন! অভিযোগ পরিবারের

'ভুলবশত' বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক জলসীমা (Bangladesh water border) অতিক্রম করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছিল কাকদ্বীপের মৎস্যজীবী। ৩২ বছরের বাবলু...

ফের মেট্রো বিভ্রাট, ময়দান থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত আংশিক ব্যাহত পরিষেবা!

রবিবাসরীয় সকালেও মেট্রো ভোগান্তি (Metro Service Interrupted)। সিগন্যালিং রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জেরে এদিন প্রথম মেট্রো থেকেই ব্যাহত হয় পরিষেবা।...

বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণাবর্ত, আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই ঊর্ধ্বমুখী পারদ

সকালে শীতের (Winter) অনুভূতি বেলা বাড়লে হালকা গরম, কার্তিক মাসের শেষ লগ্নে এভাবেই হিমেল আবহাওয়া উপভোগ করছে বঙ্গবাসী।...

টাটা সুমো-ডাম্পারের সংঘর্ষ, জম্মু-কাশ্মীরে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৪ আহত একাধিক

শ্রীনগরের নওগ্রামে বিস্ফোরক থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে যখন শোরগোল পড়ে গেছে ঠিক সেই আবহে ভূস্বর্গে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার...