Weather Update: ঘূর্ণাবর্ত আর কোটালের জোড়া ফলা, চিন্তা বাড়ছে উপকূলে

এমনিতেই কাঁচা মাটির বাড়ি রয়েছে যাঁদের তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। আবহাওয়াবিদরা বলছেন নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টির দাপট বাড়বে, পাশাপাশি পূর্ণিমার কোটাল থাকায় নদী- সমুদ্রে জলস্তর বাড়ার আশঙ্কা থাকছে।

বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal)ঘনীভূত হয়েছে নিম্নচাপ । ঘূর্ণাবর্ত (Cyclone)ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে ওড়িশার দিকে। আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার থেকেই প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Department)। ৮ থেকে ১১ এই চারদিন উপকূলবর্তী এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনিবার থেকে সুন্দরবন (Sundarban) জুড়ে সতর্কবার্তা প্রচার শুরু হয়েছে। পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৎস্যজীবীদের সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। রবিবারের মধ্যেই তাঁদের সমুদ্র থেকে ফিরে আসার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সামনেই পূর্ণিমার কোটাল, তারমধ্যে নিম্নচাপ- এই দুই মিলে আতঙ্কের প্রহর গুনছেন উপকূলবর্তী এলাকার মানুষ।

উত্তাল সমুদ্র, রাতভর দফায় দফায় বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ার দাপট দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায়। সোমবার থেকে বাড়বে বৃষ্টির পরিমান। ইতিমধ্যেই নামখানা থানার তরফ থেকে নামখানা, হাতানিয়া , দোয়ানিয়া নদীতে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে । গোসাবা ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোসাবা পঞ্চায়েত ও সুন্দরবন কচুখালী গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে বিভিন্ন নদী বাঁধ এলাকায় মাইকিং করে সতর্কতা প্রচার করা হচ্ছে। ফ্রেজারগঞ্জের বিভিন্ন এলাকাতেও একই ভাবে মাইকিং করা হচ্ছে। এমনিতেই কাঁচা মাটির বাড়ি রয়েছে যাঁদের তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। আবহাওয়াবিদরা বলছেন নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টির দাপট বাড়বে, পাশাপাশি পূর্ণিমার কোটাল থাকায় নদী- সমুদ্রে জলস্তর বাড়ার আশঙ্কা থাকছে। সেক্ষেত্রে নিচু এলাকায় জল ঢুকে প্লাবনের সম্ভাবনাও একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পূর্ব মেদিনীপুরে এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে বাংলায়।

Previous articleরামমোহন সম্মিলনীর খুঁটি পুজোয় চাঁদের হাট
Next articleকমনওয়েলথ গেমসের ফাইনালে ভারতের পুরুষ হকি দল