ভোটে জিততে না পেরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে
ইডি-সিবিআইকে দিয়ে দলের নেতা-মন্ত্রীদের হেনস্থা করা হচ্ছে, এমন অভিযোগের মাঝেই আজ বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে হয়ে গেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা সমাবেশ। মূলত পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখেই ছিল এই সাংগঠনিক সমাবেশ। যেখানে দলের সর্বস্তরের নেতাদের একগুচ্ছ বার্তা, নির্দেশ, পরামর্শ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ শীর্ষ নেতৃত্ব।

এদিনের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১৫ থেকে ১৭ হাজার নেতা-কর্মী। পুজোর আগেই নেতা-কর্মীদের নতুন করে মনোবল চাঙ্গা করাও ছিল এই সমাবেশের অন্যতম লক্ষ্য। সমাবেশে উজ্জ্বল উপস্থিতি দেখা গেল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারকেও। দল বা সাংসদ পদ ছাড়ার সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের মেগা সমাবেশে যোগ দিয়ে নেত্রীর কথা শুনলেন প্রাক্তন এই দুঁদে আমলা।

সম্প্রতি, পার্থকে চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর দল সম্পর্কে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন জহর সরকার। তাঁর মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছিল দলের একাংশ। জহর সরকার বলেছিলেন, ”টিভিতে দেখে বিশ্বাসই করতে পারিনি। কারও বাড়ি থেকে এত টাকা বেরিয়ে আসতে পারে তা ভাবতেই পারিনি। এরকম দৃশ্য খুবই কম দেখা যায়। লোকে এই নিয়ে মন্তব্য করবেই। লোকের মুখ তো বন্ধ করা যায় না। ওসব দেখে বাড়ির লোকেরা বলল তুমি রাজনীতি-ই ছেড়ে দাও। এই পচন ধরা শরীর নিয়ে ২০২৪ সালের ভোটে লড়াই করা মুশকিল।”

এরপর জহর সরকারের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। তবে তিনি যে দলের সঙ্গেই রয়েছেন, সেটা বোঝাতে কয়েকদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে
অমিত শাহকে “পাপ্পু” কটাক্ষ করেন। আর এদিন হাসিমুখে নেতাজি ইন্ডোরে মেগা সমাবেশে যোগ দিয়ে সমস্ত জল্পনায় জল ঢালেন জহর সরকার।
