পুজোর আগে পর্যটকদের জন্য দুঃসংবাদ! গ্লেনারিজে মিলবে না দার্জিলিং চা

সম্প্রতি চা বাগানের কর্মীদের পুজোর বোনাসকে (Puja Bonus) কেন্দ্র করেই এমন অভূতপূর্ব পদক্ষেপ নিল ‘গ্লেনারিজ’। শুক্রবার থেকেই ক্যাফেটিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দার্জিলিং চা।

গ্লেনারিজ (Glenarys) থেকে দার্জিলিং চা (Darjeeling Tea) বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেন কর্ণধার অজয় এডওয়ার্ডস (Ajay Edward)। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এবার থেকে শৈল শহরের ঐতিহ্যবাহী ক্যাফেতে আর মিলবে না দার্জিলিং চা। সম্প্রতি চা বাগানের কর্মীদের পুজোর বোনাসকে (Puja Bonus) কেন্দ্র করেই এমন অভূতপূর্ব পদক্ষেপ নিল ‘গ্লেনারিজ’। শুক্রবার থেকেই ক্যাফেটিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দার্জিলিং চা।

চা শ্রমিকদের এক কিস্তিতে ২০ শতাংশ বোনাস দিতে হবে। এই দাবিই তুলেছেন গ্লেনারিজের কর্ণধার তথা হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড। গত পরশু শিলিগুড়িতে শ্রম দফতরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ঠিক হয় দুই কিস্তিতে ২০ শতাংশ বোনাস (Bonus) পাবেন পাহাড়ের চা শ্রমিকেরা। পুজোর আগে প্রথম কিস্তি এবং দীপাবলির পর বাকি ৫ শতাংশ।

বাঙালির আবেগের আরেক নাম দার্জিলিং। দমবন্ধ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে বাঙালির কাছে বাড়তি অক্সিজেন পাহাড়। তবে পাহাড় ঘোরার সাধ থাকলে সবসময় সাধ্য থাকে না। তাই বাজেটের মধ্যে পাহাড়ের শীতলতা অনুভব করতে দার্জিলিঙের জুড়ি মেলা ভার। আর পাহাড়ে বেড়াতে গিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে যদি গ্লেনারিসে বসে এক পেয়ালা চা না খেলেন তাহলে দার্জিলিং ভ্রমণ বৃথা।

তবে শুধু চা নয়, ক্যাফের মেনুতে থাকে একাধিক লোভনীয় আইটেম। সে বার্গারই হোক বা পেস্ট্রি, হট চকোলেট বা স্যানডুইচ সবেতেই যেন স্বর্গীয় স্বাদ। সবকিছুকে ছাপিয়ে এবং গ্রহণযোগ্যতার (Acceptance) নিরিখে দার্জিলিং চা-ই সবার মনের মণিকোঠায়। আর সেই চা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল গ্লেনারিস। তবে পুজোর আগে এমন সিদ্ধান্তে পাহাড়ের এই ক্যাফেতে যে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে তা বলাই বাহুল্য।