খায়রুল আলম, ঢাকা

দেশের পাহাড়ি এলাকায় বেড়েছে জ*ঙ্গি কার্যকলাপ। নতুন নতুন নামে সংগঠিত হচ্ছে সশস্ত্র জ*ঙ্গিরা। এমনই চাঞ্চল্যকর খবরের জেরে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই স্থানীয় প্রশাসন ওই এলাকায় ইতিমধ্যে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে জ*ঙ্গি বিরোধী অভিযান। বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির বিভিন্ন এলাকা থেকে ইতিমধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই একটি কুখ্যাত সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি এমন তথ্যই জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (Rapid Action Battalion)। ইতিমধ্যে একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

অন্যদিকে, জ*ঙ্গি বিরোধী যৌথবাহিনীর অভিযানের কারণে চট্টগ্রামের পার্বত্য কয়েকটি এলাকায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এসব এলাকার মধ্যে রয়েছে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রোমা উপজেলা সহ দুর্গম আরও কিছু পার্বত্য এলাকা। র্যাব একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, সম্প্রতি দেশের ১৯ জেলা থেকে ৫৫ জন তরুণ জ*ঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত হতে ঘরছাড়া। তারা বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের অধীনে পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এদিকে ঘরছাড়া তরুণদের গ্রেফতারের জন্য গত ১০ অক্টোবর থেকে দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব সহ অন্য বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে।

র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কম্যান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, যৌথবাহিনীর অভিযানের কারণে চট্টগ্রামের পার্বত্য দুর্গম এলাকাগুলোতে নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যটকদের যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, নিরুদ্দেশ হওয়া তরুণদের মধ্যে যে ১২ জনকে আমরা গ্রেফতার করেছিলাম, তাদের তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা জানতে পারি অন্য তরুণরা পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। সেখানে গত ১০ অক্টোবর থেকে অপারেশন চালানো হচ্ছে। যেহেতু বান্দরবানের জায়গাটা দুর্গম, ঝুঁকিপূর্ণ এবং পর্যটকরা ঘোরাফেরা করেন সেকারণে স্থানীয় প্রশাসন ওই এলাকায় পর্যটক যেতে নিষিদ্ধ করেছে বলেও জানান তিনি।


পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে কম্যান্ডার আরও জানান, এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে যে তথ্য এসেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় দুর্গম অঞ্চলে স্থায়ী হতে অনেক বেশি সাপোর্ট লাগে। যে কেউ গিয়ে সেখানে স্থায়ী হতে পারবে না। একারণেই বিচ্ছিন্নতবাদী কিছু সংগঠন নিরুদ্দেশ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, রসদ জোগান দেওয়া করা- সহ একাধিক কাজ করছে। এই তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা সেখানে অভিযান চালাচ্ছি।
