Thursday, August 28, 2025

কলেজিয়াম বিতর্ক: ধনখড় ও রিজিজুর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা শুনবে বম্বে হাইকোর্ট

Date:

Share post:

কলেজিয়াম পদ্ধতিতে বিচারপতি নিয়োগে সুপ্রিমকোর্ট(Supreme Court) ও কেন্দ্রের মধ্যে চলা টানাপোড়েনের মাঝেই উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়(Jagdeep Dhankar) এবং কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর(Kiren Rijiju) বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার শুনানিতে সম্মত হল বম্বে হাইকোর্ট(Bombe High Court)। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি হতে পারে আদালতে।

বিচারপতি নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে দুই তরফের টানাপোড়েনের মাঝেই গত ডিসেম্বর মাসে এক আলোচনা সভায় ধনকড় মন্তব্য করেছিলেন, “জনগণের ভোটে নির্বাচিত আইনসভার সদস্যদের পাশ করা আইনকে দেশের শীর্ষ আদালত ‘অসাংবিধানিক’ বলছে, এমন নজির বিশ্বে আর নেই!” এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুও এই ইস্যুতে বলেন, কলেজিয়ামের নিয়োগে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের যোগদান নেই। এমনকী এই প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি। এদিকে কেন্দ্রের পক্ষের যুক্তি, দেশের শীর্ষ আদালত এবং উচ্চ আদালতগুলিতে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারেরই প্রধান ভূমিকা নেওয়া উচিত। অন্য দিকে, বিচার বিভাগের বড় অংশের অভিযোগ, প্রস্তাব পাঠানো হলেও নানা কারণে বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করছে মোদি সরকার। ফলে আদালতে তৈরি হচ্ছে শূন্যপদ, দীর্ঘায়িত হচ্ছে বিচারপ্রক্রিয়া।

কলেজিয়াম বিতর্ক নিয়ে চূড়ান্ত টানাপড়েনের মাঝেই বিতর্কিত মন্তব্য করা জগদীপ ধনকড় ও কিরেন রিজিজুর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় বম্বে হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে সম্মত হল হাইকোর্ট। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি যার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা। এই ইস্যুতে আদালতের বক্তব্য কী সেদিকেই আপাতত নজর থাকবে গোটা দেশের।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার সুপ্রিম কোর্ট ও বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টগুলির বিচারপতিদের নিয়োগে দীর্ঘ দুই দশকের কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে পাল্টে দিয়েছিল। বিকল্প হিসাবে জাতীয় বিচারবিভাগীয় নিয়োগ কমিশন (এনজেএসি) গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। এই উদ্দেশ‌্যে সংসদ এবং ১৬টি রাজ্যের বিধানসভায় বিলও পাশ করানো হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এনজেএসি গড়ার ব্যবস্থাকে বাতিল ঘোষণা করে কলেজিয়াম প্রথাই বহাল রাখার রায় দেয়। এরপরই শুরু হয় কেন্দ্র ও সুপ্রিমকোর্টের মধ্যে টানাপোড়েন। যার জেরেই শীর্ষ আদালতের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় ও কেন্দ্রীয় আইমন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

spot_img

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...