Sunday, May 11, 2025

হাতের পর মিলিয়ে পা! নীতি ভুলে শহরের বুকে বাম-কংগ্রেসের ‘মিলে সুর মেরা তুমহারা’

Date:

Share post:

হাত ধরার কাজ আগেই চোখে পড়েছিল। এবার পায়ে পা মেলাল বাম-কংগ্রেস (Left Congress)। যা রাজ্য রাজনীতিতে এর আগে কবে দেখা গিয়েছে বা আদৌ দেখা গিয়েছে কী না তা মনে করতে পারছেন না কেউই। তবে একাধিক ইস্যুতে আগেও বিভিন্ন ইস্যুতে একে অপরকে সমর্থন ও আসন সমঝোতার ছবি দেখা গেলেও বুধবার এক হয়ে বাম-কংগ্রেসের পায়ে পা মেলানোর ঘটনা প্রত্যক্ষ করল কলকাতা সহ গোটা রাজ্যবাসী।

কেন্দ্রের একাধিক আর্থিক বঞ্চনা ও নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে মৌলালির (Moulali) রামলীলা পার্ক থেকে পার্ক সার্কাস (Park Circus) অবধি মিছিল করে বামেরা। এদিনের মিছিলে পা মেলায় রাজ্য কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে বামেদের এমন খারাপ অবস্থা এর আগে কখনও দেখা গিয়েছে বলে মনে হয় না। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে বর্তমানে নিজেদের অবস্থা কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তবে বুধবারের মিছিলে একটা বিষয় পরিষ্কার, সিপিএম নেতৃত্ব মুখে যতই বলুক বাংলার মানুষ একজোট হয়ে ‘ইতিহাস’ তৈরি করতে শহরের রাজপথে নেমেছে। কিন্তু সত্যিই কী তাই? নাকি বাংলার মানুষ বলতে শুধুমাত্র দুটি রাজনৈতিক দলের কথাই বোঝায়? ইতিমধ্যে তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

বুধবার সকাল থেকেই একটা বিষয় পরিষ্কার। যেভাবেই হোক মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না (Dharna) কর্মসূচি থেকে নজর ঘুরিয়ে কিছুটা হলেও লাইমলাইটে আসা। তার জন্য অনেক কসরতও করা হল দু’দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। জোর করে পুলিশের উপর চড়াও হওয়া, তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের একাধিক কুরুচিকর মন্তব্য করে জোর করে গণ্ডগোল পাকানোর প্রবল চেষ্টা সবকিছুই হল। কিন্তু কী কারণে তাঁরা এক হয়ে পায়ে পা মেলালেন সেই বিষয়টি কী তাঁদের কাছেও আদৌ পরিষ্কার? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এদিনের মিছিলে বামেদের শীর্ষস্থানীয় নেতা নেত্রীরা যেমন ছিলেন। তেমনই কংগ্রেসেরও কয়েকজন হেভিওয়েট এদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন। তবে তৃণমূলের কর্মসূচির পাল্টা এদিন কংগ্রেস, সিপিআইএম এবং বিজেপি (BJP) বিরোধী দল হিসাবে তিলোত্তমার বিভিন্ন প্রান্তে ভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। সেইমতো, বামেদের তরফে মৌলালির রামলীলা ময়দান থেকে বামেদের মিছিল ছিল। অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস ভবন থেকে ভিন্ন ইস্যুতে আলাদা মিছিলের আয়োজন করে কংগ্রেস। কিন্তু আচমকাই পার্কসার্কাস থেকে দুই রাজনৈতিক মতাদর্শগত বিপরীত ধর্মী দলের মিছিল মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।

 

 

spot_img

Related articles

ঝাড়গ্রামে ‘সাদা পাহাড়’ ঘিরে নয়া পর্যটন কেন্দ্র

ঝাড়গ্রামের (Jhargram) পর্যটন পরিকাঠামোয় বড়সড় উন্নয়নে পদক্ষেপ করছে রাজ্য। বেলপাহাড়ির ‘সাদা পাহাড়’ বা স্থানীয়দের কথায় ‘চেতন ডুংরি’ এলাকায়...

মহানগরীর পরিবহন ব্যবস্থায় বড় বদল! ধর্মতলায় ভূগর্ভস্থ পার্কিং প্লাজা-টানেল

মহানগরীর পরিবহন ব্যবস্থায় বড় বদল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। মেট্রো (Metro) সম্প্রসারণের ফলে ধর্মতলা দ্রুতই হয়ে উঠবে কলকাতার...

পরিস্থিতি যুদ্ধের থেকে কম নয়: প্রত্যাঘাতের ইঙ্গিত দিয়ে বার্তা তিন সেনাপ্রধানের

দেশের সেনার কাজ শান্তি বজায় রাখা। সেই প্রক্রিয়ায় কেউ অশান্তির চেষ্টা করলে ভারতীয় সেনা কীভাবে জবাব দেবে স্পষ্ট...

কাশ্মীর: ট্রাম্পের মধ্যস্থতা চায় না ভারত, বাণিজ্য নিয়ে ভাবছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট!

একবার দু'পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সংঘর্ষ বিরতির চেষ্টা করলেও বারবার তাঁকে এ বিষয়ে নাক গলাতে দেওয়া হবে না।...