Monday, November 10, 2025

হনুমান জয়ন্তীতে ফের অশান্তি পাকানোর ছকে বিজেপি! দাবি শশী পাঁজার

Date:

Share post:

রামনবমীকে কেন্দ্র করে হাওড়ার, রিষড়ায় সহ রাজ্যের। বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ও অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের শাসক দলের তরফে সবক্ষেত্রেই অভিযোগের তির গিয়েছে বিজেপির দিকে। হাওড়াকাণ্ডে কড়া হাতে অশান্তির মোকাবিলা করেছে পুলিশ প্রশাসন। হাওড়াকাণ্ডে গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটেছে। এই অশান্তির আবহতেই এবার হনুমান জয়ন্তী পালনের ডাক দিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। যা নিয়ে বাংলার বুকে নতুন করে অশনি সঙ্কেত তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেভাগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, রামনবমীর মতো যেন হনুমান জয়ন্তীতে কোনও অশান্তি না হয়। অশান্তি পাকালে তা বরদাস্ত করা হবে না। মিছিল, শোভাযাত্রা করার অধিকার নিশ্চয় আছে, কিন্তু তাকে সামনে রেখে দাঙ্গা করার অধিকার কারও নেই।

আগামী শুক্রবার হনুমান জয়ন্তী। ওই দিনই আবার গুড ফ্রাই ডে। আবার পবিত্র রমজানের একটি জুম্মা বার। ফলে একটা অশান্তির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। আজ, বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে সেই আশঙ্কার কথা জানান রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।
তিনি বলেন, “রামনবমীকে কেন্দ্র করে গত ৪-৫ দিন ধরে যা ঘটানো হচ্ছে বা ঘটছে তা আপনারাও দেখছেন। আমরাও দেখছি। মানুষের সম্পত্তি পোড়ানো হচ্ছে, ভাঙচুর করা হচ্ছে। বিনা অনুমতিতে একটি ধর্মীয় মিছিল আমরা দেখলাম। বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সুকান্ত মজুমদার একবার বলছেন হাওড়ায় আটক যুবক সুমিত তাদের কেউ নয়। আবার বলছেন ও কি গুলি চালিয়েছিল? এভাবেই সমাজবিরোধী তৈরি করছে বিজেপি। ওই যুবকের হাতে যখন বন্দুক ছিল তখন তিনি তাকে নিষেধ করেননি কেন? হনুমান জয়ন্তী আসছে। আগামিদিনে ওরা ফের অশান্তি পাকানোর পরিকল্পনা করেছে।”

রাজ্যজুড়ে অশান্তির জন্য শশী পাঁজা সরাসরি বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁর কথায়, “বিজেপি যেটা করছে সেটা হল ভালচার পলিটিক্স। ঝাঁপিয়ে পড়ো। বাংলাটাকে অশান্ত করে দাও। তারপরেও বলছি বাংলা কোনও দাঙ্গার জায়গা নয়। মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে খুব কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন। সামনেই হনুমান জয়ন্তী। সারা বছর এতগুলো উৎসব হয়। এত ঠাকুরের বিসর্জন হয়। তাহলে কেন তারা মনে করছে রামনবমী বা হনুমান জয়ন্তীকে ব্যবহার করা যাবে! একে ধিক্কার জানাই।”

বিজেপিকে নিশানা করে শশী পাঁজা আরও বলেন, “রাজ্যে যে দুটি ঘটনা ঘটছে তার পেছনে রয়েছে বিজেপি। ওরা মেরুকরণের রাজনীতি করে। ওদের মুখে গুড ফ্রাই ডের কথা নেই কেন? পঞ্চায়েতের আগে বাংলাকে অশান্ত করতে দেওয়া হবে না। এসব থেকে নজর ঘোরাতেই কি চিত্রনাট্য তৈরি করে অশান্ত বাংলা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সুকান্ত বন্দুক নিতে বারণ করলেন না কেন ? প্রথমে অস্বীকার করলেন। তারপর বললেন বন্দুক থেকলেও গুলি তো চলেনি।”

spot_img

Related articles

প্রতিশ্রুতি রেখেই ফের উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী, বন্যা–ধসের ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা

প্রতিশ্রুতি রেখেই ফের উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে সোমবার প্রশাসনের...

রাজ্যের গ্রামে পৌঁছচ্ছে আধুনিক চিকিৎসা, মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে চালু ২১০টি মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট

রাজ্যের প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ এলাকায় অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য ভবন প্রাঙ্গণ...

সব মামলায় জামিন, সাড়ে তিনবছর পরে জেলমুক্তি ঘটতে চলছে পার্থর

অবশেষে সব মামলায় জামিন পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সোমবার বিকেলে বিশেষ সিবিআই আদালত তাঁর...

জাতীয় দলে শামির পক্ষেই সওয়াল সৌরভের, ইডেনে পিচ পরিদর্শন গম্ভীরের

কয়েকদিন পরই  ইডেনে শুরু হবে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট(IND vs SA Test)। ইতিমধ্যেই দুই দল কলকাতায় চলে এসেছে। সোমবার...