Wednesday, November 12, 2025

আর্থিক লেনদেনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আচার্যের অনুমোদন প্রয়োজন! নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি শিক্ষামন্ত্রীর

Date:

Share post:

দায়িত্ব নিয়ে আসার পর থেকে রাজ্য পাল সি ভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) সঙ্গে সুসম্পর্কই ছিল রাজ্যের। তবে, সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে (Nandidni Chakraborty) সরানো নিয়ে কিছুটা মন কষাকষি হলেও, সরাসরি সংঘাতে জড়ায়নি রাজভবন-নবান্ন। উল্টে সাম্প্রতিক ঘটা অশান্তি মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করেন রাজ্যপাল। এবার সেই সম্পর্কে আঁচের সম্ভাবনা। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক লেনদেনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এবার থেকে রাজ্য পালের অনুমোদন আবশ্যিক বলে জানাল রাজভবন। অর্থাৎ আচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনওরকম আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে। এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা বিশ্ববিদ্যা্লয়গুলির উপাচার্যদেরও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, এই নির্দেশিকার আইনি বৈধতা নেই। এই চিঠি প্রত্যাহারের দাবি জানান শিক্ষামন্ত্রী।

রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য রাজ্যপাল। সেই হিসেবে তিনি এই নির্দেশিকা দিয়েছেন। নির্দেশিকা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে প্রত্যেক সপ্তাহের শেষে ই-মেল মারফত রাজ্যপালের কাছে এই রিপোর্ট পাঠাতে হবে। পঠনপাঠন ও প্রশাসনিক বিষয়েও খোঁজ নেবেন আচার্য।

 

জগদীপ ধনকড় রাজ্যপাল থাকার সময়, রাজ্যের প্রত্যেক বিষয়ে তাঁর অযাচিত হস্তক্ষেপে বিরক্ত হয়ে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর নিয়ম করে, তাদের মাধ্যমেই আচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তবে, সি ভি আনন্দ বোস তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, উপাচার্যদের ‘ভায়া’ শিক্ষাদফতর যোগাযোগ করার দরকার হবে না। সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন তাঁরা। প্রয়োজন মতো উপাচার্যদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখবেন আচার্যও।

এ বিষয়ে ব্রাত্য বসু জানান, এই নির্দেশিকার আইনি বৈধতা নেই। এই বিষয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে রাজ্য। এই চিঠি প্রত্যাহারের দাবি জানান শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্য-রাজ্যপালের সম্পর্ক প্রতিযোগিতার নয়, সহযোগিতার। রাজভবন রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখেই এই নির্দেশিকা জারি করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাজে অযাচিত হস্তক্ষেপ করে না রাজ্য। সেখানে এই ধরনের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেন তিনি।

তৃণমূল (TMC) সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Ray) বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে এটা নেই। রাজ্যপালের এই ক্ষমতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিষয়ে রাজ্যপাল আগ্রহ দেখাচ্ছেন, এটা ভাল। কিন্তু মনে রাখতে হবে, রাজ্যপাল কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন। রাজ্যে একটা নির্বাচিত সরকার আছে।“ শুধু তাই নয়, সৌগত রায়ের মতে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক দায় বহন করে রাজ্য। সেক্ষেত্রে রাজ্যপাল এভাবে নির্দেশিকা দিতে পারেন না বলে মত তৃণমূল সাংসদের।

 

 

spot_img

Related articles

ইডেনে অল-রাউন্ডারদের অতিরিক্ত গুরুত্ব, জুরেলকে নিয়ে ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্কের ভাবন কী?

ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্টে(Ind vs Sa Test) শুরু হওয়ার আগে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে  ইডেনের পিচ। মঙ্গলবার অনুশীলনের দফায়...

দিল্লি বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন দেহ সনাক্তকরণে ট্যাটু- টি-শার্টে ভরসা!

লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের (Delhi blast near Red fort) জেরে মৃতদের সনাক্তকরণে বাড়ছে সমস্যা (Deadbody Identification)। দেহ ছিন্নভিন্ন...

দিল্লি বিস্ফোরণে ধৃত বেড়ে ১৫, তদন্তে দশ সদস্যের NIA টিম

লালকেল্লায় কাছে বিস্ফোরণ পরিকল্পনা মাফিক নয় বরং তাড়াহুড়োর জেরেই ঘটেছে এই ঘটনা, কি খাবার কেন্দ্রীয় রিপোর্টে উঠে এলো...

তিলোত্তমার তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি, বুধেই মরশুমের শীতলতম দিন মহানগরীতে!

বঙ্গবাসীর আশা পূরণ করে স্বমহিমায় ইনিংস শুরু করেছে শীত (Winter)। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ শেষ হতে না হতেই পারদ...