Thursday, August 21, 2025

আর্থিক লেনদেনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আচার্যের অনুমোদন প্রয়োজন! নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি শিক্ষামন্ত্রীর

Date:

Share post:

দায়িত্ব নিয়ে আসার পর থেকে রাজ্য পাল সি ভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) সঙ্গে সুসম্পর্কই ছিল রাজ্যের। তবে, সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে (Nandidni Chakraborty) সরানো নিয়ে কিছুটা মন কষাকষি হলেও, সরাসরি সংঘাতে জড়ায়নি রাজভবন-নবান্ন। উল্টে সাম্প্রতিক ঘটা অশান্তি মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করেন রাজ্যপাল। এবার সেই সম্পর্কে আঁচের সম্ভাবনা। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক লেনদেনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এবার থেকে রাজ্য পালের অনুমোদন আবশ্যিক বলে জানাল রাজভবন। অর্থাৎ আচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনওরকম আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে। এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা বিশ্ববিদ্যা্লয়গুলির উপাচার্যদেরও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, এই নির্দেশিকার আইনি বৈধতা নেই। এই চিঠি প্রত্যাহারের দাবি জানান শিক্ষামন্ত্রী।

রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য রাজ্যপাল। সেই হিসেবে তিনি এই নির্দেশিকা দিয়েছেন। নির্দেশিকা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে প্রত্যেক সপ্তাহের শেষে ই-মেল মারফত রাজ্যপালের কাছে এই রিপোর্ট পাঠাতে হবে। পঠনপাঠন ও প্রশাসনিক বিষয়েও খোঁজ নেবেন আচার্য।

 

জগদীপ ধনকড় রাজ্যপাল থাকার সময়, রাজ্যের প্রত্যেক বিষয়ে তাঁর অযাচিত হস্তক্ষেপে বিরক্ত হয়ে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর নিয়ম করে, তাদের মাধ্যমেই আচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তবে, সি ভি আনন্দ বোস তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, উপাচার্যদের ‘ভায়া’ শিক্ষাদফতর যোগাযোগ করার দরকার হবে না। সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন তাঁরা। প্রয়োজন মতো উপাচার্যদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখবেন আচার্যও।

এ বিষয়ে ব্রাত্য বসু জানান, এই নির্দেশিকার আইনি বৈধতা নেই। এই বিষয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে রাজ্য। এই চিঠি প্রত্যাহারের দাবি জানান শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্য-রাজ্যপালের সম্পর্ক প্রতিযোগিতার নয়, সহযোগিতার। রাজভবন রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখেই এই নির্দেশিকা জারি করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাজে অযাচিত হস্তক্ষেপ করে না রাজ্য। সেখানে এই ধরনের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেন তিনি।

তৃণমূল (TMC) সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Ray) বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে এটা নেই। রাজ্যপালের এই ক্ষমতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিষয়ে রাজ্যপাল আগ্রহ দেখাচ্ছেন, এটা ভাল। কিন্তু মনে রাখতে হবে, রাজ্যপাল কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন। রাজ্যে একটা নির্বাচিত সরকার আছে।“ শুধু তাই নয়, সৌগত রায়ের মতে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক দায় বহন করে রাজ্য। সেক্ষেত্রে রাজ্যপাল এভাবে নির্দেশিকা দিতে পারেন না বলে মত তৃণমূল সাংসদের।

 

 

spot_img

Related articles

আমন্ত্রণ আসেনি: শুক্রবার কী করবেন দিলীপ ঘোষ, অকপট, অভিমানী

কাজের সময় কাজি, কাজ ফুরোলেই পাজি। যে দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বঙ্গে বিজেপির উত্থান, শুভেন্দু-সুকান্ত জমানায় সেই দিলীপকেই...

আমি ভুল করলে পিছনে বাবা আছে: প্রথমবার মঞ্চে উঠে আরিয়ানের শাহরুখ-শরণ

নেটফ্লিক্সে ডিরেক্টরিয়াল ডেবিউ আরিয়ান খানের (Aryan Khan)। আন্ধেরির ওয়াইআরএফ (YRF) স্টুডিও-তে তার মেগা রিলিজের ঘোষণার মঞ্চে অকপট আরিয়ান।...

বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা! খেলা দেখাচ্ছে বিদায়ী বর্ষা

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ বঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা (yellow alert)। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (forecast) অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘণ্টায়...

কালা আইন এনে দুর্নীতি দমন! বিজেপির দুই শীর্ষ মন্ত্রীর মিথ্যাচার ফাঁস তৃণমূলের

সংবিধান সংশোধন করে নরেন্দ্র মোদি দেশ থেকে দুর্নীতি তাড়াবেন। বুধবার সংসদে কালা কানুন (Black Bill) জারি করার প্রথম...