পুরসভায় চাকরি দেওয়ার নামে এবার হার্ডডিস্কে ১২ কোটির হিসেব খুঁজে পেল ইডি। অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি । সেই হার্ড ডিস্কেই একটি ফোল্ডারে ১২ কোটির হিসেব মিলেছে বলে দাবি করেছে ইডি। সেখানে নাম এবং টাকার অঙ্ক লেখা আছে বলে দাবি ইডি-র। কোন পুরসভায়, কত টাকা নিয়ে কীভাবে চাকরি হয়েছে তাও লেখা আছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় এজেন্সির।
এখনও পর্যন্ত যা তথ্য মিলেছে তাতে ১২ কোটি টাকার হিসেব রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।ইডির আধিকারিকরা আগেই অয়ন শীলের অফিসে “ডেটা মাইন”-র কথা বলেছিলেন যার মধ্যে একটি হার্ড ডিস্কের কথা বলা হয়েছিল। সেই হার্ড ডিস্কেই প্রায় ১২ কোটি টাকার হিসেব পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি। তাও হার্ড ডিস্কের মাত্র একটি ফোল্ডার দেখেই ওই হিসেব পাওয়া গিয়েছে বলে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দাবি করেছে।
জানা গিয়েছে, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন পুরসভায় যে ভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে ওই ফোল্ডারে। প্রার্থীর নাম-পরিচয় থেকে কাকে কোন পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে, সব লেখা রয়েছে ওই ফোল্ডারে। জেরায় টাকা তোলা হয়েছিল বলে অয়ন শীল স্বীকারও করেছেন বলেও দাবি ইডি-র। কিন্তু কোথায় গিয়েছিল এই টাকা? সেটাই তদন্ত শুরু করেছে ইডি। ইডির তদন্তকারীরা মনে করছেন, টাকার অঙ্ক ১০০ কোটিও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
শুধুমাত্র অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দিয়েই থেমে থাকেননি অয়ন। টাকা দিতে না পারায় যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি চুরিও করেছেন। গত মাসেই ইডি দাবি করেছিল, টাকা না দেওয়ায় প্যানেল থেকে বহু প্রার্থীর নাম অয়ন বাদ দেন বলে অভিযোগ। চুঁচুড়ার বাসিন্দা চয়নিকা আঢ্যর দাবি, ২০১৯-এ পরীক্ষা দিয়ে প্লেয়ার্স কোটায় চাকরি পান টিটাগড় পুরসভায়। গ্রুপ ডি কর্মী হিসেবে ৬ দিন কাজ করানোর পর, গোটা প্যানেলটাই বদলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।