২৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জীবনকৃষ্ণর বাড়িতে সিবিআই, তল্লাশি বিভাসের বাড়িতেও

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার থেকেই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। শুক্রবার দুপুর থেকে প্রায় ২৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তল্লাশি চলছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jibankrishna Saha) আন্দির বাড়িতে। শুক্রবার বেলা ১টা নাগাদ জীবনকৃষ্ণর বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তকারীদের চোখ এড়িয়ে নিজের মোবাইল ফোন এবং পেনড্রাইভ পাশের পুকুরে ফেলে দেন বিধায়ক। পুকুরের জল সেঁচে সেই নথি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে CBI।

শনিবার জীবনকৃষ্ণের বাড়ির পাশের জঙ্গলে তল্লাশি চালায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সেখান থেকে মিলেছে ছটি নথিবোঝাই ব্যাগ। চাকরিপ্রার্থীদের নথি ছাড়াও এসএলএসটির নিয়োগ প্রক্রিয়ার ডেটাবেসই মিলেছে বলে খবর। জীবনকৃষ্ণর বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৪০০ প্রার্থীর তথ্য। দাবি তদন্তকারী আধিকারিকদের। শনিবার নতুন করে একটি দল গিয়েছে জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ি।

এদিকে শনিবার সকালে বীরভূমের নলহাটিতে প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি বিভাস অধিকারীর (Bibhas Abhikari) বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একই সঙ্গে বিভাসের বউবাজারের ফ্ল্যাটেও তল্লাশি করে সিবিআই। হানা দেয় বিভাসের আশ্রমেও।

নলহাটির বাসিন্দা বিভাস অধিকারী ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। তাঁর দাবি, শারীরিক অসুস্থতার কারণে পদ থেকে অব্যহতি নিয়েছেন। আশ্রমের পাশাপাশি একটি বিএড কলেজ তৈরি করেছিলেন বিভাস। প্রচুর অর্থের বিনিময়ে অনেকেই সেখানে ভর্তি হতেন। সিউড়ির হরিপুরের কাছে মাস চারেক আগে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার খোলার সিদ্ধান্তও নেন বিভাস। এলাকায় প্রভাবশালী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি।