রাজেশ ঝা ওরফে রাজু খুনে ১৮ দিন পর গ্রেফতার ১। ওই খুনে জড়িত সন্দেহে দুর্গাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর সদস্যেরা।আজই তাঁকে বর্ধমান জেলা আদালতে তোলা হবে।

আরও পড়ুন:‘সংকটের মুহূর্তে রাজনীতি নয়’, সুদানে আটক ভারতীয় প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে তোপ জয়শঙ্করের
বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন জানান, রাজু খুনে ধৃতের নাম অভিজিৎ মণ্ডল। তিনি পানাগড়ের বাসিন্দা। তাঁকে দূর্গাপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আপাতত তাকে জেরা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এর থেকে বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি। তদন্তকারী সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজুকে খুনের পর পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন অভিজিৎ। নানা সূত্র ধরেই মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রাতভর চলে জিজ্ঞাসাবাদ । রাজু খুনে অভিজিতের ঠিক কী ভূমিকা ছিল তা জানতে তাঁকে জেরা চলছে। ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল শনিবার রাত ৮টা নাগাদ শক্তিগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে খুন করা হয়েছিল রাজুকে। একটি সাদা ফরচুনা গাড়ির চালকের বাঁ পাশের আসনে বসেছিলেন তিনি। এ ছাড়া গাড়িতে ছিলেন তাঁর সহযোগী ব্রতীন মুখোপাধ্যায় এবং আব্দুল লতিফ নামে বীরভূমের এক ব্যবসায়ী। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, সাদা ফরচুনা গাড়িটির ঠিক পিছনে নীল রঙের একটি চারচাকা গাড়ি এসে দাঁড়িয়েছিল ওই দিন। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকা ওই গাড়িটি থেকে ৩ জন নেমে এসে দাঁড়িয়ে থাকা সাদা ফরচুনা গাড়িটি ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি গুলি চালান। ঘটনাস্থলেই ম়ৃত্যু হয় রাজুর। গুরুতর আহত অবস্থায় ব্রতীনকে উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। যদিও গাড়ির চালক এবং লতিফের কোনও ক্ষতি হয়নি। ওই কাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন করে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার আমন সিংহকে আলাদা ঘরে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা জেরাও করেন সিটের সদস্যেরা।
