শিরোনামে যোশীমঠ (Joshimath), হেলাং উপত্যকায় ভয়াবহ ভূমিধসের (Landslide) ঘটনায় আতঙ্কে পর্যটকরা। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেলে বদ্রীনাথ (Badrinath) থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে হেলাং উপত্যকায় আচমকাই পাহাড়ের বিশাল অংশ হুমড়মুড়িয়ে রাস্তার উপর নেমে আসে। তখন অসংখ্য গাড়ি রাস্তায় দাঁড়িয়ে। বদ্রীনাথ (Badrinath Yatra) হাইওয়েতে পাহাড় ধসের ভয়ঙ্কর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এরপরেই নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বদ্রীনাথ যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। অবশেষে ১৩ ঘণ্টা পর খুলল সেই রাস্তা।
যোশীমঠের কাছে এনটিপিসির জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের টানেল নির্মাণের কাজ চলছিল। প্রশাসন সূত্রে দাবি, বৃহস্পতিবার নির্মাণ কাজের জন্য একটি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এর পরই পাহাড়ের একটি অংশ ধসে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। আটকে পড়েন কয়েক হাজার তীর্থযাত্রী। এই ভূমিধসের কারণে গৌচর, কর্ণপ্রয়াগ এবং লঙ্গাসুতেই পুণ্যার্থীদের আটকে দেয় পুলিশ এবং প্রশাসন। তাঁদের জানানো হয়, রাস্তা পরিষ্কার হলেই বদ্রীনাথের (Badrinath Yatra) উদ্দেশে রওনা হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। কর্ণপ্রয়াগের আধিকারিক অমিত কুমার বলেন, “হেলাং-এর বদ্রীনাথ রাস্তা খোলার পর যাত্রীদের যেতে দেওয়া হবে। ট্রাফিক নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশের সতর্কতা রয়েছে, পুলিশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” জল, খাবারের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েন আটকে পড়া পর্যটকরা। অবশেষে ১৩ ঘণ্টা পর খুলে গেল বদ্রীনাথের রাস্তা। কেদারনাথ-বদ্রীনাথ মন্দির কমিটির সভাপতি অজেন্দ্র অজয় জানিয়েছেন, যোশীমঠের আগে হেলাং নামক জায়গায় ধস নেমেছিল। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। চামোলী জেলার পুলিস সুপার প্রমেন্দ্র দোভাল বলছেন উত্তরাখণ্ড পুলিসের অগ্রিম প্রস্তুতি থাকে এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য। সেই মতো ধস নামার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বদ্রীনাথ যাওয়ার রাস্তা খোলা আছে। পুণ্যার্থীদের বদ্রীনাথ যাত্রায় কোনও অসুবিধা হবে না।