জীবনযুদ্ধে লড়াই করতে করতে যখন দেওয়ালে পিঠ থেকে যায় তখন কোনও না কোনও ভাবে ছুটে আসে সাহায্য যাতে আরও কিছুটা লড়াই করতে ভরসা পায় মন। এমন ঘটনা সত্যি হল হুগলি জেলার শিয়াখালার বাসিন্দা শাহিন খাতুনের (Shaheen Khatun) সঙ্গে।। ২০১২ সালে ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে মেয়েটির। দিন আনা দিন খাওয়া সংসার কোনও মতে চলে সরকারের দেওয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সাহায্য নিয়ে। মেয়েটা দৃষ্টিশক্তিহীন, কিন্তু উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন তাঁর দুচোখ ভরে। পাশে দাঁড়ালেন হুগলি জেলাপরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় (Subir Mukherjee)।

গত বছর অসুস্থতার কারণে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারেনি শাহিন। কিন্ত এই বছর তিনি বদ্ধপরিকর ছিলেন, পরীক্ষা দেবেনই। সম্প্রীতির বার্তা দিতে হিন্দু রাইটার অনন্যা কোলেকে সঙ্গে নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেন রামনাথপুর আরকেএএন হাই স্কুলের ছাত্রী শাহিন । পাশ করার পর এবার লক্ষ্য কলেজে উচ্চ শিক্ষালাভ। একদিকে ব্রেনটিউমার, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা অন্যদিকে আর্থিক অভাব, কী হবে এবার? চারপাশে যখন অন্ধকার, তখন আশার আলো হয়ে পাশে দাঁড়ালেন হুগলি জেলাপরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রায় শাহিনকে প্রায় ব্যাঙ্গালোর যেতে হয় চিকিৎসা করাতে। তাঁকে সবরকম সমর্থন করার আশ্বাস দিয়েছেন সুবীর মুখোপাধ্যায়।আগামী দিনে তিনি যাতে কন্যাশ্রী পেতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলাকার মানুষ শাহিনকে কুর্নিশ জানিয়েছেন আর সুবীর মুখোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

