Sunday, August 24, 2025

ব্রিজভূষণের উপস্থিতিতে অভিযোগকারিনীকে নিয়ে হে.নস্থার পুনর্নির্মাণ! দিল্লি পুলিশের তীব্র নিন্দা তৃণমূলের

Date:

Share post:

মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হয়রানির অভিযোগে রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি ব্রিজভূষণ সিংয়ের গ্রেফতারির দাবিতে উত্তাল দেশ। এর মধ্যেই শুক্রবার দিল্লির অশোকা রোডে তাঁর বাংলোতে তিনি উপস্থিত থাকাকালীন অভিযোগকারিনীকে নিয়ে গেল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে টুইট করেছেন তৃণমূলের (TMC) জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলে (Saket Gokhale)। এই ঘটনায় তিনি দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়ালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। সাকেত টুইটটি রি টুইট কলে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

সভাপতি ব্রিজভূষণ সিং ২০১৯-এ WFI অফিসেই ওই মহিলা কুস্তিগিরকে যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। ওই একই ঠিকানায় শুক্রবার তাঁকে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে চায় দিল্লি পুলিশ। কিন্তু সেখানে খোদ অভিযুক্ত উপস্থিত এবং তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি, সেখানে কীভাবে অভিযোগকারিণীকে নিয়ে যাওয়া হল? এই প্রশ্নে উত্তাল সব মহল। সাকেত তাঁর টুইটে লেখেন, “নিপীড়িত মহিলা কুস্তিগিরকে ভয় দেখানো এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করার দিল্লি পুলিশের একটি জঘন্য প্রচেষ্টা। “অপরাধের দৃশ্য পুনর্নির্মাণ” করতে তাঁকে অভিযুক্ত BJP সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণের বাসভবনে নিয়ে যায়। এটি করা হল যখন ব্রিজভূষণ গ্রেফতার হননি। এটি একটি হত্যা বা হত্যা মামলা নয়, যেখানে “অপরাধের দৃশ্যটি পুনরায় তৈরি করা দরকার।” এর পিছনে দিল্লি পুলিশের একমাত্র লক্ষ্য ছিল অভিযোগকারিনীকে আঘাত করা এবং তাঁকে ভয় দেখানো।“ টুইটে DCW চেয়ারপার্সন স্বাতী মাওয়ালকে একটি চিঠি লিখেছেন অবিলম্বে এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের জন্য অনুরোধ করেন সাকেত।

বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে অভিযুক্ত গ্রেফতার না হওয়া স্বত্ত্বেও , তাঁর উপস্থিতিতে অভিযোগকারিণীকে নিয়ে গেল দিল্লি পুলিশ! এর আগে অভিযোগকারিণী কুস্তিগিরের কাকা ও পরে বাবা চাপে মুকে নিজেদের বয়ান বদলান। দুজনেই বলেন, তাঁদের মেয়ের উপর কোনও যৌন নিগ্রহ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে অভিযোগকারিণী ব্রিজভূষণের উপস্থিতিতে বাড়ি নিয়ে যাওয়া তাঁর উপর চাপ বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। মহিলা কুস্তিগীর বলেন, তিনি যখন জানতে পারেন, যে ব্রিজভূষণ তাঁর বাসভবনে আর তিনি WFI অফিসে তখন তিনি রীতিমত ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। অথচ তাঁর দিল্লি পুলিশ জানানয় বাংলোয় কেউ নেই। এটা তাঁর কাছে খুবই অস্বস্তির কারণ।

দিল্লি পুলিশের সাফাই, ব্রিজভূষণের বাড়ি এবং WFI অফিস একই উঠোনের দুদিকে। সেই কারণে ভুল খবর ছড়িয়েছে। কিন্তু এই ধরনের মামলায় সেখানে অভিযোগকারীকে কেন অভিযুক্তর সামনে নিয়ে যাওয়া হল- তা নিয়ে মুখে কুলুপ দিল্লির পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের।

 

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...