আগেই জানিয়ে ছিলেন পঞ্চায়েতে তিনিই তৃণমূলের প্রার্থী হবেন, যাঁর ভাবমূর্তি স্বচ্ছ্ব। কথা রাখলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur) কেশপুরের মঞ্চে যাঁদের পঞ্চায়েত ভোটের মুখ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এবার তাঁদেরই প্রার্থী করছে তৃণমূল। দলের সাংসদ প্রতিশ্রুতি রাখায় আপ্লুত শেখ হসিনুদ্দিন এবং মঞ্জু দলবেরা।

কেশপুরের আনন্দপুরে ভিড়ে ঠাসা সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শেখ হসিনুদ্দিন এবং মঞ্জু দলবেরাকে মঞ্চে তুলে অভিষেক জানান, এরাই ‘নব তৃণমূলের’ মুখ। দলীয় সূত্রের খবর, তাঁদেরই প্রার্থী করছে তৃণমূল। ৪ ফেব্রুয়ারি সভায় অভিষেক বলেন, ‘‘এই ভদ্রলোকের নামে বাড়ি এসেছে। উনি প্রধানকে গিয়ে বলেছেন, আমি বাড়ির টাকা নেব না। উনি বলে এসেছিলেন, আমার এক ছেলে, এক মেয়ে। অনেক কষ্টে মেয়েকে পড়িয়ে বড় করেছি। ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় দুটো ঘরের ছোট বাড়িও যদি বানাই, বাড়তি আরও ৩ লাখ টাকা খরচ হবে। তা হলে আমি মেয়ের বিয়ে দিতে পারব না।’’ এরপরেই হসিনুদ্দিনের টালির বাড়ির ছবি দেখিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, হসিনুদ্দিনবাবুর মতো লোকেরাই নতুন তৃণমূলের মুখ। হসিনুদ্দিন তৃণমূলের কেউ ছিলেন না সেই সময়। এবার তিনিই পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের প্রার্থী হচ্ছেন।

আর অভিষেকের ডাকে মঞ্চে উঠেছিলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মঞ্জু এবং তাঁর স্বামী বুথ সভাপতি অভিজিৎ দলবেরাও। অভিষেক জানিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ার কারণেই মঞ্জুরা আবাস যোজনার টাকা নিতে চাননি। নব তৃণমূলের ‘মুখ’ সেই মঞ্জু-হাসিনুদ্দিনকেই এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী করা হবে, সেদিনই তা স্পষ্ট জানিয়ে দেন অভিষেক। তৃণমূল সূত্রে দাবি, সেই মতোই হসিনুদ্দিন এবং মঞ্জুকে প্রার্থী করা হয়েছে। হসিনুদ্দিনকে কেশপুরের কলাগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত আর মঞ্জুকে গোলাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী করা হয়েছে। বুধবারই এই খবর দুজনকে জানানো হয়েছে। ২জনেই বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দিতে যাবেন।

আরও পড়ুন- তদ.ন্তে অস.ন্তুষ্ট, কুন্তল মামলায় ED-CBI-কে তুলোধনা অমৃতা সিনহার
