রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলতে গিয়ে উলটে জনরোষের মুখে BJP সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। রবিবার, সকালে সিঙ্গুরে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে বেরোন BJP সাংসদ। সেখানেই তাঁকে, শুনতে হয়- শুধু ভোট এলেই দেখা যায়? অন্য সময় দেখা পাওয়া যায় না কেন?

এদিন, সিঙ্গুর এলাকায় দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার করেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ। সিঙ্গুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের আতালিয়া এলাকায় অনেকে পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন। যদিও এই বিষয়ে শাসকদলের উপর দায় চাপানো চেষ্টা করেন লকেট। সেই সময় স্থানীয়রা লকেটের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছোড়েন, “ভোটের সময় এসে বললে হবে না। আগে থেকে এসব খোঁজ খবর নিতে হয়। শুধু ভোটের সময় বললে হয় না।”
পরিস্থিতি সামলে লকেট বলেন, “এখন তৃণমূল সরকার চলছে।” সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা তাঁকে স্থানীয়রা বলেন, “তৃণমূল হাজারবার সরকার চালাক, কিন্তু বিজেপি, সিপিএমের তো দেখা দরকার ছিল।” কার্যত ওখান থেকে সরে মুখ বাঁচান বিজেপি সাংসদ। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সরকারি আবাস যোজনায় ঘর পায়নি। ১০০দিনের কাজের টাকা পায়নি। আর লকেট এসে বাংলার শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Benarjee) উদ্যোগেই বাংলার মানুষ লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে বিধবাভাতা, বার্ধক্যভাতা পাচ্ছেন।

আরও পড়ুন- পিছিয়ে যেতে পারে কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ, হতে পারে এই দিনে : সূত্র

এই বিষয়ে সিঙ্গুর তৃণমূল ব্লক সভাপতি গোবিন্দ ধারা বলেন, লকেট চট্টোপাধ্যায় লোকসভা ভোটের আগে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলো পূরণ করতে পারেননি। আর সারা বছর মানুষ সাংসদকে দেখতে পায় না। তাই এদিন মানুষ ক্ষোভ দেখিয়েছে। মানুষ বুঝতে পেরেছে, যে বাংলার বিজেপি নেতাদের চক্রান্তে কেন্দ্র বাংলার আবাস যোজনার টাকা, ১০০ দিনের কাজের টাকা সব আটকে রেখেছে। সারা বছর মানুষের জন্য তৃণমূল কাজ করছে। আর ভোটের সময় বিজেপি ভোট চাইতে এলে মানুষ তো ক্ষোভ দেখাবে, এটাই স্বাভাবিক।
