তর্জন-গর্জনই সার! দিলীপের নিজের বুথেই পদ্মের বদলে ফুটল ঘাসফুল

ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের কুলিয়ানা গ্রামে দিলীপ ঘোষের বাড়ি। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের এই গ্রামের ২৫ নম্বর বুথেই ভোট দেন দিলীপ।

ফের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) ভরাডুবি বিজেপির (BJP)। তবে শুধু নির্বাচন বললে ভুল হবে, বাংলার মানুষ আগেই গেরুয়া শিবিরকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করেছিল। মানুষ দুহাত তুলে আশীর্বাদ জানিয়েছিল তৃণমূলের (TMC) মা-মাটি-মানুষ সরকারকে। আর মঙ্গলবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল বাংলার মানুষ আর কোনওভাবেই গেরুয়া হাতকে শক্ত করতে নারাজ। আর সেকারণেই গেরুয়া শিবিরকে ছুঁড়ে ফেলে ঘাসফুলেই আস্থা রাখল রাজ্যবাসী। এদিন ফলাফল ঘোষণার পরই দেখা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) এলাকায় বড় ব্যবধানে জয় হাসিল করল তৃণমূল।

ঝাড়গ্রামের (Jhargram) গোপীবল্লভপুরের কুলিয়ানা গ্রামে দিলীপ ঘোষের বাড়ি। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের এই গ্রামের ২৫ নম্বর বুথেই ভোট দেন দিলীপ। পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বে তাঁর বুথে প্রার্থীই দিতে পারেনি বিজেপি। জানা গিয়েছে, গোপীবল্লভপুরের কুলিয়ানা ২৫ নম্বর বুথে দিলীপের এলাকায় বিজেপি প্রার্থী দিতে পারেনি। আর ওই বুথে নির্দলকে পরাজিত করে ২৪ ভোট জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের শিবানী দেউলি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই গলায় উল্টো সুর বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতির গলায়। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ”আমরা তো লড়াইয়েই ছিলাম না।” মঙ্গলবার সকাল থেকেই নানা গণনাকেন্দ্রে শুরু হয় ভোটগণনা। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় গণনার কাজ। আর এদিন ফলাফল স্পষ্ট হতেই দেখা যায়, সবুজ ঝড়ের দাপট।

গোপীবল্লভপুর দুই ব্লকের কুলিয়ানা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৩। তার মধ্যে কুলিয়ানা সংসদে রয়েছে দু’টি বুথ। সেখানে কুলিয়ানার বুথ নম্বর ২৫-এ প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। বাকি বুথগুলিতে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে। তবে নির্বাচনের আগে থেকেই তৃণমূল বারবার দাবি জানিয়ে আসছে, বিজেপির বেশিরভাগ বুথে প্রার্থী দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আর সেকারণেই বিভিন্ন কারণে অযথা রাজ্যে অশান্তির চেষ্টা বিজেপির। পাশাপাশি গোপীবল্লভপুর ২৪ নম্বর বুথেও জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বুথের প্রার্থী সুকোমল মহাপাত্র জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর কুলিয়ানা গ্রাম পঞ্চায়েত ছিল বিজেপির দখলে। ১৩টি আসনের মধ্যে ১০টিতেই জিতেছিল বিজেপি। তার আগে ২০১৩ সালে এই গ্রাম পঞ্চায়েত ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। এবার আবার তা তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে এল।

 

 

 

Previous articleবু*লেটের জবাব ব্যালটে, শীতলকুচিতে তৃণমূলের জয়জয়কার
Next articleসন্দেশখালিতে সবুজ ঝড়: মনোনয়ন জমার বাড়তি সময় নিয়েও শূন্য বিজেপি