রাতের অন্ধকারে ভস্মীভূত হয়ে গেল এশিয়ার বৃহত্তম পাইকারি বাজার, হাওড়ার মঙ্গলাহাট (Mangalahat)।বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আগুন লাগে মঙ্গলাহাটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের গ্রাসে চলে যায় প্রায় হাজার খানেক দোকান। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ব্যবসায়ী এবং এলাকার মানুষের মনে, দ্রুত ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের কুড়িটি ইঞ্জিন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ঠিকই কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose)। একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের পর সোজা হাওড়ার মঙ্গলাহাটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন সেখানকার ব্যবসায়ীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, পরিকল্পনা করে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সিআইডি (CID) তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী (CID)। সেইমতো গতকাল রাত থেকেই বিভিন্ন সূত্র খুঁজতে কাজ শুরু করে দিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।

ইতিমধ্যেই আগুন লাগার মূল কারণ খতিয়ে দেখতে একটা কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। কমিটিতে থাকছেন জেলা শাসক, মন্ত্রী অরূপ রায়, দমকলের এক প্রতিনিধি, হাওড়ার পুলিশ কমিশনার, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের একজন প্রতিনিধি ও পুলিশের একজন প্রতিনিধি।

বৃহস্পতিবার রাতে আগুন লেগেছিল কিন্তু শনিবার সকালেও ধোঁয়া বেরোতে দেখা গেল হাওড়ার মঙ্গলাহাটে । এখনও সেখানে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন কাজ করছে। এ নিয়ে দমকল আধিকারিক সৌম্য বসু জানান, কিছু জায়গায় ভিতরে আগুন রয়েছে। সেখান থেকেই ধোঁয়া বেরোচ্ছে। দমকলকর্মীরা কাজ করছেন। শুক্রবার রাতভর ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন গোয়ান্দারা। গতকাল ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জেলা শাসকের সঙ্গে সমস্যা নিয়ে আলোচনার কথা জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন , হাওড়া পুলিশ এবং সিআইডির তদন্তের পর জমির বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট নিয়ে যদি দেখা যায় যে জমি সরকারের, তা হলে সেখানে হাটের জন্য বিল্ডিং করে দেওয়া হবে। আর যদি জমির পূর্বতন চুক্তির মেয়াদ শেষের পর যদি নতুন করে মালিকানার ক্ষেত্রে কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া না যায়, সে ক্ষেত্রে সরকার জমি অধিগ্রহণ করতে পারে।
