ফেসবুক পোস্ট করেই ফেঁসে গেল অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে গিয়ে ওপর চালাকি করতে গিয়েই পুলিশের নজরে চলে আসল অরিত্র।

প্রসঙ্গত, যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়ানোর সাফাই দিতে গিয়ে ফেসবুক পোস্ট করে অরিত্র। সে তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছিল, ঘটনার পরের দিন ১০ তারিখে কাশ্মীরে ছিল সে। মিডিয়া এবং বেশ কিছু ছাত্র সংগঠন তার নামে মিথ্যা প্রচার করছে। যে কোনওরকম তদন্তের সামনে দাঁড়াতে প্রস্তুত। সে কলকাতায় ফিরছে বলে জানিয়েছে। অরিত্র জানিয়েছে, সে কাশ্মীরে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিল। প্রাক্তন ওই ছাত্রনেতার দাবি, চার মাস আগে থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসের টিকিট এবং দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী বিমানের টিকিট কাটা ছিল তার। ফেসবুকে টিকিটগুলির ছবি প্রকাশ করে তার দাবি, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় কোনওভাবে সে যুক্ত নয়। ঘটনার দিন সে হস্টেলে যায়নি। যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত বলেও ফেসবুকে লিখেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় করা ওই পোস্টে অরিত্র জানিয়েছে, ১০ অগাস্ট কলকাতা থেকে কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা হয়। এখানে প্রশ্ন উঠেছে, অরিত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফিসিয়ালি কোনও ছুটি নেয়নি। এমনকী তার যে পিএইচডি গাইড রয়েছেন তাঁকেও কিছু জানায়নি বলে তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছে সে। তবে কি এটা হস্টেলে ওই মর্মান্তিক ঘটনার পর অরিত্রর সাজানো পরিকল্পনা? সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। এসএফআই ছাত্রনেতা জানিয়েছে যে, এই মুহূর্তে পুলিশের হাতে যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা প্রত্যেকেই প্রথমে বলেছিল যে ঘটনার সময় ছিল না। এমনকী গ্রেফতার হওয়ার পরেও একই কথা বলে যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা বারবার বয়ান বদল করছে। সঙ্গত কারণেই অরিত্রের দাবিও কতটা যুক্তিযুক্ত সে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। প্রশ্ন উঠেছে, গবেষক হয়েও দীর্ঘদিন কি করে এটি ছাত্র সংসদের মাথা হয়ে কাজ করত অরিত্র? এসএফআই থেকেই এই প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন, এত বড় ঘটনা ঘটেছে জেনেও কেন সে শহর ছাড়ল? ১০ তারিখ চলে গেলেও ১১ তারিখ ডিপার্টমেন্টে তার হয়ে সই করল কে? যদি সে নির্দোষ হয়, তবে ঘটা করে ফেসবুকে জানানোর কী প্রয়োজন ছিল? এরকম প্রশ্ন অনেক কিন্তু এখনও সেগুলির উত্তর নেই আলুর কাছে।

আরও পড়ুন- অভিনব উদ্যোগ! সরকারি উন্নয়নমূলক কাজের প্রচার দুর্গাপুজোর মণ্ডপেই: ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
