যাদবপুরকাণ্ডের পর ক্যাম্পাসের ভেতরের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মাদক সেবনের বিশাহয়টি প্রকাশ্যে আসতেই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে।এ বার সেই মাদক সেবনের প্রবণতা ঠেকায়ে প্রযুক্তির আশায় নিতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘‘দেশে নারকোটিক্স আইন আছে। সেই আইনের মধ্যে থেকেই আমরা যা করার করব। যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়, করা হবে।’’

আরও পড়ুনঃ র্যা.গিং ফিরবে যাদবপুরে, এটাই কিন্তু ভবিতব্য
বিমানবন্দরে বা বিভিন্ন সংস্থার দফতরে মাদক চিহ্নিতকরণের জন্য যন্ত্র বসানো থাকে। সেই যন্ত্রে যে কোনও মাদক ধরা পড়ে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশদ্বারগুলিতে তেমন যন্ত্র বসানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কেউ মাদক নিয়ে প্রবেশ করলে যন্ত্রে তা ধরা পড়বে। এ ভাবেই কী যাদবপুরের ক্যাম্পাসকে মাদকমুক্ত করা যাবে বলে ভাবছেন উপাচার্য?
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বাইরের একটি সংস্থাকে সেই ক্যামেরা বসানোর বরাত দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, হস্টেল এবং ক্যাম্পাস মিলিয়ে আপাতত মোট ১০টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে ২৬টি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। এর পর মাদক ঠেকাতেও প্রযুক্তির আশ্রয় নিতে পারেন কর্তৃপক্ষ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নদিয়ার ছাত্রের মৃত্যুর পর থেকেই তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক অব্যবস্থা নিয়ে। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ, মাদক সেবন, অপরাধমূলক কাজকর্মের দিকে আঙুল তুলেছেন অনেকেই। তার পর থেকেই ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি জোরালো হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হচ্ছে। উপাচার্যের কথা অনুযায়ী মাদক-বিরোধী যন্ত্রও ক্যাম্পাসে বসানো হয় কি না, কোন প্রযুক্তির আশ্রয় নেন কর্তৃপক্ষ,সে এখন সময়ের অপেক্ষা।
