Thursday, November 13, 2025

হকের দাবিতে অনড়, রাজ্যপাল দেখা না করা পর্যন্ত ধর্না মঞ্চেই থাকছেন: হুঙ্কার অভিষেকের

Date:

Share post:

বাংলার মানুষের হকের পাওনা আদায়ে অনড় তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রাজভবনের গেটের সামনে রাতভর ধর্নায় থাকবেন তিনি। বৃহস্পতিবার, সন্ধেয় তৃণমূলের ধর্নামঞ্চ থেকে এই ঘোষণা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি জানান, রাজ্যপাল রাজভবনে উপস্থিতি নেই। সেই কারণে বকেয়ার দাবিতে স্মারকলিপি দিতে রাজভবনে যাবেন তৃণমূলের ১৫জন প্রতিনিধি। সৌজন্য দেখাচ্ছে তৃণমূল। কিন্তু রাজ্যপালের জমিদারি মনোভাবের প্রতিবাদ অভিষেকের।

কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, রাজ্যের পাওনা আদায় দিল্লি গিয়ে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষকে ১০০দিনের কাজ করিয়ে টাকা দেয়নি কেন্দ্র। এর প্রতিবাদে দিল্লিতে দুদিনে ধর্না কর্মসূচি পালন করেন অভিষেকরা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “দিল্লিতে আমাদের ধমকানো-চমকানো হয়েছে। কিন্তু আমাদের দমানো যায়নি। আমরা সৌজন্য দেখিয়েছি, কিন্তু রাজ্যপালের এই জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধে। দিল্লিতে যা হয়েছে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতা, এর জবাব দেবে মানুষ। গায়ের জোরে বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকে রাখা হয়েছে। ২০ লক্ষ মানুষ, যাদের দিয়ে কাজ করানো হয়েছে, তাদের প্রাপ্য আটকে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা হলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার অনুরোধ করব। কেন বাংলার টাকা আটকে রাখা হয়েছে, তা জানতে চাওয়ার অনুরোধ করব।“

রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেন অভিষেক বলেন, ‘‘কেন্দ্রের গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। প্রতিমন্ত্রী পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। এখন রাজ্যপালও চলে গেলেন। আমি তো সবার সামনে। বিজেপি নেতারা কেন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন?’’ এরপরেই হুঙ্কার দিয়ে অভিষেক ঘোষণা করেন, যতক্ষণ না রাজ্যপাল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করবেন, ততক্ষণ ধর্নামঞ্চেই অবস্থান থাকবেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত ৯ পর্যন্ত চলবে তৃণমূলে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। তার পর আবার শুক্রবার সকাল ১১টা কর্মসূচি শুরু হবে। তবে অভিষেক কোথাও নড়বেন না। বাংলার গরিব মানুষের হকের দাবিতে রাতভর ধর্নামঞ্চেই থাকবেন তিনি।

তাঁকে পাঠানো ইডির পর পর নোটিশ নিয়েও তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক। বলেন, “আমাকে ইডি একের পর এক নোটিস দিচ্ছে। আমার মা-বাবা-স্ত্রীকে একের পর এক নোটিশ, অথচ বিজেপি নেতারা কেন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন? ২০ লক্ষ মানুষ কী কাজ করেছে? এটা রাজ্যপালের কাছে জানতে চাইব।“

spot_img

Related articles

“রিচার নামে স্টেডিয়াম ইতিহাস হয়ে থাকবে”, উচ্ছ্বসিত ঝুলন

শিলিগুড়িতে রিচা ঘোষের(Richa Ghosh)  নামে স্টেডিয়াম হচ্ছে শিলিগুড়িতে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের নামে...

‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-র ট্রেলার-পোস্টার লঞ্চে ‘বাবা-মেয়ে’র রসায়নে চিরঞ্জিৎ-রুক্মিণী

অর্ণব মিদ্যার ছবি 'হাঁটি হাঁটি পা পা'-র ট্রেলার ও পোস্টার লঞ্চের জমজমাট অনুষ্ঠান হল ফ্লোটেলে। বৃদ্ধ বাবা ও...

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...