আজ, মঙ্গলবার থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে শুরু হচ্ছে যান নিয়ন্ত্রণ। রাত ১০টা থেকে হাওড়াগামী ফ্ল্যাঙ্কের দু’টি লেন বন্ধ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। প্রাথমিকভাবে এই যান নিয়ন্ত্রণ মহড়া হিসেবে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত চলবে। এই সময়কালের মধ্যে সেতুর উপর ছোট গাড়ি, বাইক, যাত্রীবাহী গণপরিবহণ যাতায়াত করবে। কিন্তু, সমস্ত পণ্যবাহী ও ভারী যানের চলাচলের জন্য বিকল্প রুটের ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পুলিশ।

পয়লা নভেম্বর থেকে বিদ্যাসাগর সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করেছে হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স (এইচআরবিসি)। প্রাথমিকভাবে ডিভাইডারের কাজ চলছে। কলকাতা পুলিশ সেই সময়েই জানিয়েছিল, একটি করে ফ্ল্যাঙ্ক বন্ধ রেখে ব্রিজের দু’পাশের মেরামতি চলবে। তবে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত কিছুটা পরিবর্তন করে জানান হয়, ডিভাইডারের কাজ শেষ হওয়ার পরই বন্ধ করা হবে হাওড়াগামী ফ্ল্যাঙ্ক। তবে ১ ডিসেম্বর ওই ফ্ল্যাঙ্কের একটি লেন বন্ধ করে দেওয়া হয়।

লালবাজারের তরফে বলা হয়েছে, প্রথম পর্যায়ে হাওড়াগামী ২টি লেন বন্ধ করে কাজ করবে এইচআরবিসি। সেই কাজ সম্পূর্ণ হলে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে। তখন কলকাতাগামী ফ্ল্যাঙ্কের ২টি লেন বন্ধ থাকবে। তবে কতদিন এই পর্যায়ের কাজের মহড়া চলবে, তা স্পষ্ট করেনি লালবাজার। তার জেরে যানজট নিয়ে যথেষ্ট আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে সমস্ত রকম পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বিদ্যাসাগর সেতুর উদ্দেশে যাওয়া ভারী ও মাঝারি পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে বিকল্প রুট হিসেবে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, শ্যামবাজার, বিটি রোড, ডানলপ হয়ে নিবেদিতা সেতু হয়ে হাওড়ার দিকে পাঠানো হবে। অন্যদিকে, বন্দর এলাকা থেকে হাওড়াগামী পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে স্ট্র্যান্ড রোড, হাওড়া ব্রিজ হয়ে। প্রয়োজনে সেগুলি এসপ্ল্যানেড ক্রসিং দিয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, শ্যামবাজার, বিটি রোড, ডানলপ হয়ে নিবেদিতা সেতু ধরতে পারবে।
