বাংলাদেশের ক্রিকেটে লজ্জার ইতিহাস তৈরি হল বুধবার। হাত দিয়ে বল আটকে আউট হয়ে গেলেন মুশফিকুর রহিম। পোশাকি ভাষায় এর নাম ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’। মুশফিকুরই বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার যিনি এ ভাবে আউট হলেন। বুধবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে এই ঘটনা ঘটেছে।

১৪৬ বছরের টেস্ট ইতিহাসে অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ডের একটাই ঘটনা থাকলেও হাত দিয়ে বল ধরার অপরাধে এর আগেই আউট হয়েছেন সাতজন।তালিকায় আছেন রাসেল এনডিন, অ্যান্ড্রু হিলডিচ, মহসিন খান, ডেসমন্ড হেইন্স, গ্রাহাম গুচ, স্টিভ ওয়াহ ও মাইকেল ভন। মুশফিকুর রহিমের নামটা এই তালিকাতেই নয়া সংযোজন।বাকিদের প্রায় সবাই বল স্টাম্পের দিকে যাচ্ছে বলে রিফ্লেক্স অ্যাকশন থেকে বা আইন না জেনে হাত দিয়ে বল সরিয়ে দিয়েছেন। কেউ বা শিকার প্রতিপক্ষের অখেলোয়াড়ি আচরণের। কিন্তু মুশফিক যে বলটা হাত দিয়ে ধরেছেন, তা স্টাম্পের অনেক বাইরে দিয়ে চলে যাচ্ছিল। এমনিতেই আউটটা বিচিত্র, মুশফিকেরটা বিচিত্রতর।

‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউট হওয়া সাত ব্যাটসম্যানের মধ্যে বাকি ছয়জনই বলে হাত লাগিয়েছেন আউট হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে।বুধবার ম্যাচের ৪১তম ওভারে এই ঘটনা ঘটে। কাইল জেমিসনের একটি শর্ট লেংথ বল ক্রিজে দাঁড়িয়ে খেলেন মুশফিকুর। সেটি পিচে ড্রপ করে লাফিয়ে ওঠে। মুশফিকুর আচমকা সেই বল হাত দিয়ে ঠেলে সরিয়ে দেন। সেই বলটি উইকেটে লাগার সম্ভাবনা প্রায় ছিলই না। কিন্তু যে হেতু বলটি ‘ডেড’ হওয়ার আগেই মুশফিকুর ইচ্ছাকৃত ভাবে হাত দিয়ে সরিয়ে দেন, তাই নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারেরা ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ আউটের আবেদন করেন।
মাঠে থাকা আম্পায়ারেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তাঁরা তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে সিদ্ধান্ত নিতে পাঠান। তৃতীয় আম্পায়ার আহসান রাজা মুশফিকুরকে আউট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী, এটি আগে ‘হ্যান্ডলিং দ্য বল’ নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে ক্রিকেটীয় আইনে এই আউটের নাম বদল করা হয়। আইনের ৩৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, এই আউট ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’-এর আওতায় পড়ে।
