মণিপুরের বরিষ্ঠ পুলিশ আধিকারিক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দু’জনের মধ্যে একজন বিজেপির শীর্ষ নেতা। মণিপুরের পুলিশ অফিসার চিংথাম আনন্দ কুমার হত্যা মামলায় হেমখোলাল মেটকে বৃহস্পতিবার সীমান্ত শহর মোরে থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই হেমখোলাল মণিপুরের টেংনোপাল জেলা বিজেপির কোষাধ্যক্ষ। তাঁর সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছে আর এক অভিযুক্ত ফিলিপ খাইখোলাল খংসাই। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর মুখ রক্ষার্থে অভিযুক্ত বিজেপি নেতাকে সাসপেন্ড করেছে গেরুয়া শিবির।

৩১ অক্টোবর ২০২৩ সালে মণিপুরের মায়ানমার সীমান্তবর্তী টেংনোপাল জেলার মোরেতে খুন হল পুলিশ আধিকারিক চিংথাম আনন্দ। ঘটনার সময় স্থানীয় একটি হেলিপ্যাডের কাজ তত্ত্বাবধান করছিলেন তিনি। সেই সময়েই তাঁর উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিজেপি নেতা হেমখোলাল মেট মৌলসাং গ্রামের বিজেপির প্রধান এবং বিজেপির আদিবাসী ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ। স্বাভাবিকভাবেই তার গ্রেফতারিতে মুখ পুড়েছে বিজেপির। এদিকে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের এদিন আদালতে পেশ করা হলে আদালতের নির্দেশ মেনে তাদের ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

দলের নেতার গ্রেফতারির ঘটনায় রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি এন নিম্বাস সিং বলেন, “দলের জরুরি কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ডাকার পরে, হেমখোলাল মেটকে আমাদের দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এবং দলের সকল সদস্যদের উপর আমাদের তরফে নজরদারি জারি থাকবে। যদি কেউ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” তবে এই ঘটনায় বিরোধীদের তোপ, ঠিক এই কারণেই কী মণিপুর নিয়ে নীরব মোদি। হিংসার এতদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও বীরেন সিংকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে রাখা হয়েছে?
