Thursday, November 6, 2025

মহিলাদের ‘আত্মনির্ভরতায়’ জোর! নয়া অর্থবর্ষে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য রেকর্ড ঋণদানের ঘোষণা রাজ্যের

Date:

Share post:

বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর (Self Help Group) সদস্যদের জন্য এবার বড়সড় ঘোষণা রাজ্যের (West Bengal)। আসন্ন অর্থবর্ষে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের এবার ৩০ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ (Loan) দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আর মহিলাদের (Women) জন্য এমন যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে একদিকে যেমন নিজেদের কাজের উন্নতির জন্য ঋণ পাবেন মহিলারা, পাশাপাশি তাঁরা আরও স্বাবলম্বী হতে পারবেন। রাজ্যের মহিলাদের জন্য এই উদ্যোগের ঘোষণা আগেই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর নতুন বছরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়ার কথা লক্ষ্যমাত্রা নিল রাজ্য। আর এমন পদক্ষেপের জেরে রাজ্যের ১১ লক্ষ ৮০ হাজার গোষ্ঠী উপকৃত হবে। শুক্রবার এমনই জানিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার (Pradip Majumder)।

শুক্রবার বিকেলে পূর্ব ও পশ্চিম  বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের উৎপাদিত সামগ্রী নিয়ে সৃষ্টিশ্রী মেলার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানেই মহিলাদের আর্থিক স্বচ্ছলতার বিষয়টি তুলে ধরে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে একহাত নেন প্রদীপ। তিনি জোর গলায় বলেন, বাংলার মেয়েরা ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে পালিয়ে যায় না। পাশাপাশি অনাদায়ী ঋণের পরিমাণও দুই শতাংশেরও কম। এরপরই তিনি নাম না করে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, অনেকে তো ঋণ নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেল। কেন্দ্র কারও কারও হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ মুকুবও করে দিল। তবে বাংলায় এসবের জায়গা নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই রাজ্যবাসীর পাশে রয়েছেন। সে মহিলা হোন বা পুরুষ ঋণ নেওয়া থেকে শুরু করে কম ঋণে তা পরিশোধের রাস্তা বাতলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।

তবে এদিন এখানেই থামেননি মন্ত্রী। এদিন ১০০ দিনের কাজের টাকার পাশাপাশি বাংলার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার তীব্র নিন্দা করে প্রদীপ জানান,  আদালতের নির্দেশ যোগ্য মানুষদের ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে কোনওভাবেই আটকে রাখা যাবে না। তারপরেও কেন্দ্রের মোদি সরকার তা জোর করে আটকে রেখেছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েরা এগিয়ে না এলে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধের জন্য গ্রামীণ অর্থনীতির হাল আরও শোচনীয় হতো। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই বর্তমানে গ্রামে বিকল্প কর্মসংস্থানের পথ দেখাচ্ছে। এটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্ব। তাঁর দেখানো পথে হেঁটেই এই স্বপ্ন বাস্তব হয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও সমবায় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বাংলার মেয়েদের আত্মনির্ভরতার পথ দেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রদীপ জানান, চলতি অর্থবর্ষে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা ব্যবসার জন্য মোট ২১ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। সেই ঋণ পরিশোধও হয়েছে।

 

 

 

 

spot_img

Related articles

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...

দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম রাস উৎসবে ভক্তদের ঢল 

দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের...

বেঁচে আছেন, তাই জানতে পারলেন ‘দোষী নন’: আজব বিচার উত্তরপ্রদেশে

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) মিঠু সিংয়ের জীবনে যেন সেটাই সত্যি হতে বসেছিল। অবশেষে ৫৫...