অবশেষে দিল্লির কুচকাওয়াজে “বিশিষ্ট অতিথি” হিসাবে উপস্থিত থাকবেন কিশোর বিজ্ঞানী অভিজ্ঞান। বাবা মায়ের সঙ্গে ২৫ জানুয়ারি দিল্লির উদ্দেশ্যে বিমানে চড়বে ১৬ বছরের এই কিশোর। হুগলি কলেজিয়েটের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র অভিজ্ঞানকিশোর দাসকে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রকের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দিল্লির কর্তব্যপথে অনুষ্ঠিত সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তিনি।
যদিও সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লির কুচকাওয়াজে অভিজ্ঞানের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। কারণ হিসাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক ১৬ বছরের এই কিশোরকে শর্ত দিয়েছিল সস্ত্রীক অথবা একা আসতে হবে। উত্তরে অভিজ্ঞান ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল – “বাবা-মা অথবা অন্তত তাঁদের একজনকে সঙ্গে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক”।

মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, দেশের সেরা প্রায় ১০০জন কীর্তিমান “উদ্ভাবক ও মেধাসম্পদ” অধিকারীর মধ্যে অভিজ্ঞান অন্যতম। গত অক্টোবরে তার একাধিক যুগান্তকারী উদ্ভাবনের জন্য তাকে “ন্যাশনাল ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অ্যাওয়ার্ডে” ভূষিত করে। এই মেধাবী কিশোর – পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে দেশে কনিষ্ঠতম এবং একমাত্র বাঙালি উদ্ভাবক। কি করে একজন বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ১৬ বছরের কিশোরের “বউ না থাকার” কারণে একা দিল্লি যাত্রা সম্ভব?সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করে।এরপরই নড়েচড়ে বলে দিল্লি।গতকালই অভিজ্ঞানকে ফোনে জানানো হয় যে অভিভাবক সহ দিল্লি আসতে পারে সে।কুচকাওয়াজের পর, মন্ত্রীরদের সঙ্গে চা চক্রে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাকে।

স্বভাবতই, শেষ মুহূর্তে দিল্লি যাত্রা নিশ্চিত হওয়াতে খুশির হাওয়া চুঁচুড়া নারকেল বাগানের দাস পরিবারে। অভিজ্ঞান জানান, ” দিল্লি সাধারণতন্ত্র দিবসে বিশিষ্ট অতিথি আসন গ্রহণ, সঙ্গে বিশিষ্টদের সাথে চা-চক্রে অংশগ্রহণ এবং সংক্ষিপ্ত দিল্লি ভ্রমণের সুযোগে আমি গর্বিত। অভিজ্ঞানের মা প্রিয়াঙ্কাদেবী জানান, ” অবশেষে পুত্রের ইচ্ছার সম্মতি দিল। অভিজ্ঞানের এই যাত্রা নিয়ে আমরা কোনও বিতর্ক চাইনি। অভিজ্ঞানের এই সাফল্য শুধু তার নয় এই বাংলার সমস্ত মানুষের।
