বহিরাগতদের উস্কানিতেই সন্দেশখালি অশান্ত করার চেষ্টা, দাবি তৃণমূলের

সন্দেশখালির ঘটনা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

সন্দেশখালির ঘটনা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেচ মন্ত্রী বলেন, যখন দলের সাত আট জন ছেলে খেয়া পারাপারের জন্য দাঁড়িয়েছিল তখন আচমকা তাদের উপর আক্রমণ চালানো হয়েছে সন্দেশখালিতে। এরপরই আরও বেশ কিছু মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দিষ্ট কয়েকজন নেতার পোল্ট্রিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বৃহস্পতিবার, এমনই অভিযোগ করেন সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।

তিনি বলেন, গতকাল রাতের ঘটনা আজ শুক্রবার পাশের কয়েকটি পঞ্চায়েতে ও গ্রামে ছড়িয়ে দেওয়া হয় এবং সেখানেও তৃণমূলের নির্দিষ্ট নেতার পোল্ট্রি ও বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই কাজ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তার সাফ কথা, বিজেপি যদি মনে করে এভাবে আটকে দেবে আন্দোলন তাহলে ভুল ভাবছে। কেন্দ্রের মঞ্চনার বিরুদ্ধে বকেয়া টাকা আদায় করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিতে এই অশান্ত পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এদিন দাবি করা হয়।

সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে বকেয়া আদায়ের আন্দোলনকে আটকে দিতেই তিন দিন ধরে এই অশান্তি করা হচ্ছে, আর এদের উস্কানি দিচ্ছে বহিরাগতরা।সাংসদ প্রতিমা মন্ডল বলেন, এভাবে তৃণমূলের আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে পারবে না বিজেপি। পুলিশ প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় পরিস্থিতি বড় আকার নেয়নি।প্রসঙ্গত, আজও সন্দেশখালির পার্শ্ববর্তী জেলিয়াখালিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মহিলারা। তাদের সামনে রেখে আগুন ধরিয়ে দেওয়া এক নেতার পোলট্রি ফার্ম এবং বাড়িতে। এই ঘটনায় পুলিশ আটজনকে গ্রেফতার করেছে।