শনিবার সকালেই ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে উত্তম সর্দারকে। আর রাতেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন অভিযুক্ত সন্দেশখালির জেলা পরিষদ সদস্য, অঞ্চল কমিটির সভাপতি উত্তম সর্দার। সন্দেশখালি থানা এলাকা থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি গ্রেফতার হয়েছেন বিকাশ সিংহ নামের এক বিজেপি নেতাও।

প্রসঙ্গত, শাসকদলের তরফ থেকে আগেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল সন্দেশখালিকাণ্ডে দোষীদের রেয়াত করা হবে না। শনিবার, রেড রোডের ধর্না মঞ্চে থেকে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmik) জানান, তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে অভিযুক্ত সন্দেশখালির জেলা পরিষদ সদস্য, অঞ্চল কমিটির সভাপতি উত্তম সর্দারকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হচ্ছে।

শনিবার, রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে পার্থ ভৌমিক জানান, আমরা তৃণমূলকে ভালবাসি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালবসি। তৃণমূল কখনই মানুষের সঙ্গে অসভ্য আচরণকে প্রশ্রয় দেয় না। পার্থ জানান উত্তম সর্দার স্থানীয় মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। অভব্য আচারণ করছেন। লোকজনকে ভয় দেখাচ্ছেন। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলা পরিষদের সদস্য ও অঞ্চল সভাপতিকে উত্তমকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। ধর্না মঞ্চেই পার্থ জানান, এ ধরনের অভিযোগ দল বরদাস্ত করে না। তাই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় উত্তম সর্দারকে সাসপেন্ড করা হল। এরপরেই রাতে গ্রেফতার হলেন উত্তম সর্দার। সন্দেশখালি থানা এলাকা থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি গ্রেফতার হয়েছেন বিকাশ সিংহ নামের এক বিজেপি নেতাও।

আরও পড়ুন- ফোন চুরি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের, থানায় অভিযোগ দায়ের
