Friday, November 14, 2025

নিয়োগে স্থগিতাদেশ নয়, কমিশনারদের পদে বহাল রেখেই শুনানি: শীর্ষ আদালত

Date:

Share post:

নিয়োগে স্থগিতাদেশ নয়, কমিশনারদের পদে বহাল রেখেই শুনানি চলবে বলে জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, মামলা খারিজ হচ্ছে না। যাদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের পদে বহাল রেখেই মামলার শুনানি চলবে। আসলে সুপ্রিম কোর্ট ২০২৩ সালের একটি আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশনারদের (ইসি) নিয়োগ স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেছে, যা নির্বাচন প্যানেল থেকে ভারতের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়েছিল।বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ আবেদনকারীদের বলেছেন,  সত্যটি তুলে ধরে একটি পৃথক আবেদন করার জন্য।

বৃহস্পতিবার আদালতের পর্যবেক্ষণ, আইন স্থগিত বা নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ স্থগিত করলে, তা শুধুমাত্র বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং দীপঙ্কর দত্তের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আইনের বিভিন্ন বিধানের সাংবিধানিকতাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট পিটিশনের শুনানির সময় একথা বলেন। ১৫ মার্চ, আদালত ২০২৩ আইনের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ স্থগিত করতে অস্বীকার করেছিল।এই আইনের মাধ্যমে ভারতের প্রধান বিচারপতিকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এদিন বলেছেন, আপনি বলতে পারবেন না যে নির্বাচন কমিশন কারও অঙ্গুলিহেলনে চলছে বা অধীনে রয়েছে। এই পর্যায়ে, আমরা আইনটি স্থগিত রাখতে পারি না, কারণ তার ফলে শুধুমাত্র বিশৃঙ্খলা এবং অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হবে।তবে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও সুষ্ঠু হতেই হবে। আদালত বলেছে, সাধারণত আমরা একটি অন্তর্বর্তী আদেশের মাধ্যমে আইনে স্থগিতাদেশ দিই না।

উল্লেখ্য, আইনের সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে, বিশেষ করে প্রধান বিচারপতিকে নির্বাচন প্যানেল থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলার আবেদনগুলি কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস এবং অন্যরা মামলা দায়ের করেছিলেন।আইন স্থগিতের আবেদন খারিজ করে দিলেও আদালত আবেদনকারীদের আশ্বস্ত করেছেন তাদের যুক্তিগুলি খতিয়ে্ দেখা হবে।আদালত অবশ্য এই দুজন নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন প্রক্রিয়াটিকে সরকার কর্তৃক দ্রুত পদক্ষেপ করার বিষয়টিকে ব্যতিক্রম হিসেবে দেখছে।বিচারপতি খান্না বলেছেন,সরকার ধীরে সুস্থে কাজটি করতে পারত।একজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করার জন্য ১৫ মার্চ ঠিক করা ছিল অথচ দুজন কমিশনার নির্বাচন করার জন্য একদিন পিছিয়ে  ১৪ মার্চ বৈঠক করা হল। বিচারপতি দত্ত বলেন,একদম শেষ মুহূর্তে অনুসন্ধান কমিটির বৈঠক না করে আগে সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল।

বৃহস্পতিবার প্রাক্তন ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবা (আইএএস) অফিসার জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সান্ধুকে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে একটি প্যানেল তাদের নির্বাচন করেছেন।গত ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুপ চন্দ্র পান্ডের অবসর এবং অরুণ গোয়েলের আকস্মিক পদত্যাগের পরে নির্বাচন কমিশনে দুটি শূন্যপদ তৈরি হয়।

 

 

spot_img

Related articles

সরকারি হাসপাতালে নাবালিকা রোগীর শ্লীলতাহানি! গ্রেফতার RG Kar আন্দোলনের ‘বিপ্লবী’ ডাক্তার

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতে সরকারি হাসপাতালে নাবালিকা রোগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে। ঘটনায় গ্রেফতার বারাসাত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের...

আন্দুল রোডে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড! ভস্মীভূত দুই স্পঞ্জ কারখানা 

রাতের হাওড়ায় ভয়াবহ আগুনে কার্যত ছারখার হয়ে গেল আন্দুল রোডের পাশে হাঁসখালি পোল এলাকার দুটি স্পঞ্জ তৈরির কারখানা।...

সোনারপুরে শুরু হচ্ছে প্রবীণদের জন্য বিনামূল্যে নিউমোনিয়া ও ফ্লু টিকাকরণ কর্মসূচি

শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই নিউমোনিয়ার সংক্রমণ বাড়ছে রাজ্যজুড়ে। বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই রোগ অনেক সময় প্রাণঘাতী...

প্রকাশিত হল আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষার সময়সূচি

প্রকাশিত হল আগামী বছরের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষার সময়সূচি। কাউন্সিলের তরফে এদিন বিজ্ঞপ্তি জারি...