লোকসভা নির্বাচনের ( Loksabha Election ) আবহে খবরে ভেসে থাকতে মন্ত্রিসভা থেকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu) সরানোর ‘হাস্যকর’ সুপারিশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। নবান্নকে (Nabanna )যে রিপোর্ট কার্ড জমা দিয়েছেন তিনি, এবার তার পাল্টা উত্তর দিল রাজ্য সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হিসেবে আচার্যর কী ভূমিকা এবং সেখানে রাজ্য সরকারের সীমারেখা কতটা সেকথা জানিয়ে বুধবার নবান্নে রিপোর্ট কার্ড পাঠিয়েছিল রাজভবন (Rajbhawan)। এর উত্তরে ন’পাতার চিঠির প্রত্যেক ছত্রে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের এক্তিয়ার স্মরণ করালো রাজ্য (Government of West Bengal)। পড়ুয়াদের কথা না মেনে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন রাজ্যপাল, এটা ক্ষমতার অপব্যবহার। ক্ষোভ উগরে দিল উচ্চশিক্ষা দফতর।

উচ্চশিক্ষা দফতরের দেওয়া চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের মাধ্যমে রাজ্যপাল রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব করতে চাইছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। একই সঙ্গে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে ধৈর্য রাখতে পারছেন না রাজ্যপাল।তিনি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ‘ধ্বংস করে’ রাজ্যের পড়ুয়াদের ‘অনিয়শ্চতা’র মুখে ফেলতে চাইছেন। এক্ষেত্রেও উদাহরণ হিসেবে দেশের শীর্ষ আদালতের পুরনো নির্দেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধির প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে। রাজ্যের তরফে অভিযোগ, যোগ্য ব্যক্তিদের উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করছেন না রাজ্যপাল। এর ফলে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে কাঙ্ক্ষিত উন্নতি হচ্ছে না।

বাংলায় ফের ডেইলি প্যাসেঞ্জার মোদি! ১৪ দিনে ১৪ সভা, কলকাতায় রোড-শো

নির্বাচনী আচরণ বিধি চলার মধ্যেই হঠাৎ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Bose) রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। বৃহস্পতিবার, এই সুপারিশের পরেই তীব্র কটাক্ষ করেন নিজের X হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন ব্রাত্য বসু। এই সুপারিশকে ‘হাস্যকর’ বলে খোঁচা দেন ব্রাত্য। লেখেন, “এটা হাস্যকর। আমি বিধি ভাঙলে তা নির্বাচন কমিশনকে জানানো উচিত। রাষ্ট্রপতিকে নয়। রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের রাজনৈতিক রঙ দেখিয়ে দিলেন।” এবার চিঠি লিখেও রাজ্য সরকারের তরফে করা জবাব দেওয়া হলো রাজভবনকে। রাজ্যপাল যে ক্রমাগত সংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করছেন তা উল্লেখ করে চিঠিতে লেখা হয় ‘আচার্য তথা রাজ্যপাল বিধিবহির্ভূতভাবে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষাকে ধ্বংস করছেন। পড়ুয়াদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।’ ৩০ মার্চ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যা নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রাজ্যপালের। এই অজুহাতে শিক্ষামন্ত্রীকে ক্যাবিনেট থেকে সরানোর জন্য আবেদন করেন আনন্দ বোস। তীব্র আক্রমণ করে ব্রাত্য বলেন, রাজ্যপাল শুধু একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে আচরণ করছেন তাই নয়, তিনি নিজের সমস্ত সীমাও অতিক্রম করছেন।
