Sunday, August 24, 2025

চরমে জাতিগত অসাম্য, মোদি সরকারের ‘বিকাশে’ দেশের ৯০ শতাংশ কোটিপতিই উচ্চবর্ণের!

Date:

Share post:

মুখেই শুধু সব কা বিকাশের স্লোগান, কিন্তু বাস্তবে যে তা কত বড়সড় ‘জুমলা’ তার পর্দাফাঁস করল এক সমীক্ষার রিপোর্ট (Report)। তৃতীয়বার শরিকদের কাঁধে ভর করে কোনওরকমে সরকার গঠন করেছে বিজেপি (BJP)। আর প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসে একের পর এক বাউন্সারে এবার মাথা বাঁচানো দায় মোদি সরকারের (Modi Govt)। সম্প্রতি এমনই এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ কোটিপতিই উচ্চবর্ণের। ওই তালিকায় তফসিলি উপজাতির কোনও ভাগই নেই। বিহারের একটি সমীক্ষা রিপোর্টেও এধরনের জাতিগত অসাম্যের বিষয়টি প্রকট হয়েছে। আচমকা এমন রিপোর্ট সামনে আসতেই মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। বিরোধীদের মতে, মোদির টার্গেট শুধুমাত্র দেশের উচ্চবর্ণের মানুষকেই কোটিপতি করা। নিম্নবর্ণের কোনো মানুষকেই সেই তালিকায় জায়গা দেওয়া সম্ভব নয় কিন্তু ভোট আসলেই সেই সংখ্যালঘুদের তোষণ করতে উঠেপড়ে লাগে মোদি সরকার। যা এই রিপোর্টে স্পষ্ট।

‘টুওয়ার্ডস ট্যাক্স জাস্টিস অ্যান্ড ওয়েলথ রিডিস্ট্রিবিউশন ইন ইন্ডিয়া’ শীর্ষক রিপোর্টে ভারতে সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে এই জাতিগত বৈষম্যের তারতম্যের বিষয়টি উঠে এসেছে। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, দেশের মোট সম্পদের ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে উচ্চবর্ণের এক শতাংশ মানুষের হাতে। যা ভারতের ‘ক্রমবর্ধমান বৈষ্যমের’ দিকেই ইঙ্গিত করছে। রিপোর্টে জনসংখ্যার বিন্যাসের ভিত্তিতে ভারতের কোটিপতিদের ২০০৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত জাতিগত বৈষম্যের একটি স্বচ্ছ ছবি তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে ২০০৮ সালে ভারতে উচ্চবর্ণের কোটিপতি ছিলেন ৮৮.৬০ শতাংশ। সেখানে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির হার ছিল মাত্র ১০.৪০ শতাংশ।

২০১৮ সালে এই পরিসংখ্যান ছিল যথাক্রমে ৮১.৭০ শতাংশ এবং ১৪.৪০ শতাংশ। তার ঠিক দুবছর ঘুরতে না ঘুরতেই ২০২০ সালে কোটিপতির ক্ষেত্রে উচ্চবর্ণের প্রতিনিধিত্ব বেড়ে দাঁড়ায় ৮৪.৩০ শতাংশ। সেখানে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব কমে হয় ১১.৬০ শতাংশ। ২০২২ সালে এই অঙ্ক দাঁড়ায় যথাক্রমে ৮৮.৪০ শতাংশ এবং ৯ শতাংশ।

 

 

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...