রাজ্যসভায় বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতেই চেপে ধরতে চলেছে বিরোধীরা। বিজেপির একাধিক আইনের সংশোধনের পাশাপাশি নতুন মোট ২৩টি প্রাইভেট মেম্বার্স বিল আনতে চলেছেন রাজ্যসভার বিরোধী সাংসদরা। লোকসভা নির্বাচন থেকে বিচারপতিদের অবসর নিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার যে ট্রেন্ড চালু হয়েছে, তা বন্ধ করতেও এবার বিল আনছে বিরোধীরা।

লোকসভা নির্বাচনের আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগদান ও তারপরে বিজেপির প্রার্থী হিসাবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাঁড়ানোর পরে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্টের বিচারপতি রোহিত আর্য অবসরগ্রহণের পরে বিজেপিতে যোগ দেন। এরপরেই এই বিচারপতিদের অতীতের রায়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই প্রথা বন্ধ করতে আরজেডির সাংসদ এডি সিং বিলের প্রস্তাব পেশ করতে চলেছেন যাতে সাংবিধানিক পদে থাকা কোনও ব্যক্তি অবসরের পরে রাজনীতিতে যোগ না দিতে পারেন। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনের পদও থাকছে।

প্রাইভেট মেম্বার্স বিলের মধ্যে তৃণমূলের পক্ষ থেকে চাকরির নিশ্চয়তা নিয়ে বিল আনছেন সাংসদ মৌসম বেনজির নূর। দেশে যেভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার বাড়ছে তার কারণে যেন সাধারণ কর্মীদের জীবিকা অনিশ্চিত না হয়, সেই আইন চেয়ে বিল প্রস্তাব করবেন তিনি। সেই সঙ্গে ডিপফেকের বিরুদ্ধের বিল আনারও প্রস্তাব করবেন তিনি।

বিরোধীদের পক্ষ থেকে যে ২৩টি প্রাইভেট মেম্বার্স বিল আনা হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। এছাড়াও নূন্যতম বেতন ও বার্ধক্যের পরে জীবনের নিশ্চয়তা নিয়েও বিল আনা হচ্ছে।
