২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে একের পর এক নির্বাচনে বিপর্যয়। রক্তক্ষরণ হতে হতে সিপিএম (CPIM) এখন শূন্য। বঙ্গ রাজনীতিতে কার্যত জীবন্ত জীবাশ্মে পরিণত হওয়া সিপিএম এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি সার্বিকভাবে তাদের প্রধান রাজনৈতিক শত্রু কারা! লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় ইস্যু বাদ রেখে বাংলায় তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে চব্বিশে আরও বিপর্যয় হয়েছে সিপিএমের।

নির্বাচনী বিপর্যয়ে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পর বঙ্গ সিপিএম (CPIM) অবশেষে পর্যালোচনা দলিলে কবুল করেছে তাদের ভুল রণনীতির কথা। সাংগঠনিক দৈন্যেরও উল্লেখ করা হয়েছে। এককথায় যাকে বলে বিলম্বিত বোধোদয়।

সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে সিপিএমের একটি অংশ তৃণমূলের বিরোধিতা করতে গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো জনমুখী প্রকল্পকে বিদ্রুপ করেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দলের প্রাথমিক পর্যালোচনার দলিলে সেই ভুলের কথা কবুল করল সিপিএম।
সিপিএমের নথিতে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং রাজ্য কমিটির প্রাথমিক পর্যালোচনা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিভিন্ন রাজ্যের ফলাফল সম্পর্কে পৃথক পৃথক ভাবে পর্যালোচনা করেছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গে বড় জায়গা করে নিয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার এবং সামাজিক প্রকল্পগুলিকে আক্রমণের বিষয়টি। সিপিএম তাদের নথিতে লিখেছে, ‘‘জনগণের মধ্যে, বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে টিএমসির সমর্থন রয়ে যাওয়ার একটি উপাদান হল লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো কিছু প্রকল্প ও কল্যাণমূলক ব্যবস্থা। কিছু পার্টি ইউনিট ও কর্মীদের মধ্যে ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এইসব প্রকল্পকে ‘উৎকোচ’ বা ‘ডোল’ বলে চিহ্নিত করার প্রবণতা রয়েছে, যা গরিব মানুষের থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করে দেয়।’’ একই সঙ্গে ওই নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যে কোনও রাজ্য সরকারের কল্যাণমূলক প্রকল্প সম্পর্কে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের রিপোর্টই বলছে ১০০ দিনের টাকা পায়নি বাংলা!বঞ্চনার অভিযোগে সরব তৃণমুল