প্রথমে আর জি কর, পরে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজ। ডাক্তারি পড়ুয়াদের প্রবল আন্দোলন। পরে আর জি করের ঘটনায় কর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে খোদ কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণে তীব্র ভর্ৎসনার পরে অবশেষে ছুটির আবেদন করলেন আর জি করের পদত্যাগী অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সেই আবেদন গ্রহণে নির্দেশ আদালতের। অন্যদিকে মামলায় আদালতের নির্দেশ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অধ্যক্ষ পদে থাকতে পারবেন না তিনি।
সোমবার পদত্যাগ ও চাকরি ছাড়ার এক দফা নাটকের পরে স্বাস্থ্য দফতর তাঁকে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে বহাল করে। কিন্তু সেখানকার পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে মঙ্গলবার সেখানে ঢুকতেই পারেননি সন্দীপ ঘোষ। তবে এদিনই হাইকোর্টে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলার শুনানি হয়। সেখানে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ নিজের কর্তব্য পালনে ব্যর্থ আর জি করের পদত্যাগী অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাই তাঁর অত্যাবশ্যকীয় ছুটি যাওয়া উচিত।
আদালতের এই পর্যবেক্ষণের পরেই ১৫ দিনের ছুটির আবেদন করেন সন্দীপ ঘোষ। স্বাস্থ্য দফতের তিনি আবেদন জমা দিলেও স্বাস্থ্য দফতর সেটি পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখে। কারণ আদালতে আর জি কর মামলাটি বিচারাধীন ছিল।
যদিও এই মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যে মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের অভিভাবকের মতো একজন অধ্যক্ষ, তিনি কেন এত বড় ঘটনার পরে অভিযোগও দায়ের করলেন না। এরপরই প্রাথমিকভাবে অধ্যক্ষকে ছুটিতে যাওয়ার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। সেই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ অধ্যক্ষ ছুটির যে আবেদন করেছেন তা গ্রহণ করা উচিত। আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি কোথাও অধ্যক্ষ পদে বহাল হতে পারবেন না বলে নির্দেশ আদালতের।