ভিডিওতে যাদের দেখা যাচ্ছে তাদের সিবিআই জিজ্ঞেস করছে না কেন? প্রশ্ন কুণালের

আরজি করের বিষয়টা যথেষ্ট স্পর্শকাতর। আমরা চাই সিবিআই দ্রুত তদন্ত শেষ করুক। যে বা যারা করেছে তাদের খুঁজে বের করে তাদের ফাঁসি চাই,ফের দাবি করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। নাহলে এই ধরনের জল্পনা, চর্চা, সন্দেহ বাড়তেই থাকবে। একটি ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এটা তো স্বাভাবিক যে কোথাও একটা ঘটনা ঘটলে সেখানকার যারা আধিকারিক আছেন তারা সেখানে ছুটে যাবেন। যে জায়গার ছবি দেখানো হচ্ছে সেখান থেকে মৃতদেহ কত দূরে ছিল, কখন এই ভিডিও তোলা হয়েছে, কারা তুললেন, নানান প্রশ্ন কিন্তু ভিডিওটি নিয়ে উঠছে।

এরকম ভিডিও আরও হয়তো বের হতে পারে।এর বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ একমাত্র করতে পারে সিবিআই। যাদের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তাদের ডেকে সিবিআই জিজ্ঞেস করলেই তো পারে। তদন্তটা তো শেষ করতে পারে। জল্পনা বা সন্দেহ না বাড়িয়ে যাদের চেনা যাচ্ছে তাদের ডেকে, আগে পরের ঘটনা, কিসের জন্য তারা গিয়েছিলেন, তা জেরা করে জানতে পারে সিবিআই।আমাদের একটাই দাবি সিবিআই অবিলম্বে তদন্ত করে জানিয়ে দিক সঞ্জয় রায় একমাত্র দোষী, নাকি তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল।

এরই পাশাপাশি তৃণমূলের ভিডিও প্রকাশ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ধুয়ে দিলেন কুণাল।তার খোঁচা,সুকান্ত মজুমদারের যদি প্রকাশিত ভিডিও নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকে তাহলে উনি আদালতে যান। আসলে ওদের চক্রান্তটা ধরা পড়ে গিয়েছে।সন্দেশখালির সময়ও বলেছিল ভিডিও ভুয়ো। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই ভিডিও নিয়ে বিজেপি কোর্টে যাওয়ার সাহস হয়নি। আমাদের হাতে যে ভিডিও এসেছে, আমরা সবার সামনে পেশ করেছি।কুণালের পরামর্শ, সুকান্তবাবু শুধুমাত্র সাংবাদিক সম্মেলন না করে যদি মনে হয় এই ভিডিও ভুয়ো, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নিন। আসলে সুকান্তবাবুর দলের মধ্যে থেকে আসল কথাটা উঠে এসেছে, লাশ চাই লাশ।লাশ না পেলে বাংলায় রাজনীতির মোড় ঘোরানো যাবে না। বাংলায় তাই দু তিনটে লাশ চাই। এই যে এত বড় চক্রান্তটা তাদেরই দলের লোকের মুখে ফাঁস হয়ে গিয়েছে, সেটা দেখার পর এখন সুকান্তবাবু শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে নেমেছেন।

কুণাল বলেন, দাবিটা ছিল আরজি করের নির্যাতিতার ন্যায়বিচার।তার বদলে বিজেপি চলে গিয়েছে চেয়ারের রাজনীতিতে। আসলে মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করে, দু চারটে বাইরের লোক ঢুকিয়ে দিয়ে দু তিনটে লাশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়ে এ রাজ্যে ব্যাকডোর দিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছিল সুকান্তবাবুরা। কিন্তু সেটা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তাদের মুখ পুড়েছে। সুকান্তবাবু জবাব দিন, যাদেরকে ছাত্রসমাজের তকমা দিয়ে সামনে রাখা হয়েছে, তারা তো সব আপনাদের দলের, আরএসএস, এবিভিপির।আমাদের দলের নেতারাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে দিয়েছেন।

যাদের সামনে রেখেছেন তাদের মধ্যে একজনের ২০১৪ সালে ইভটিজিং থেকে শুরু করে মহিলাকে উত্তপ্ত করার জন্য এফআইআর আছে। তাকে সামনে রেখে আন্দোলন করতে চাইছেন।এমনকী, যারা ৮৫ হাজার টাকা ফেরত দিতে চাইছেন এতদিন যা টাকা নিয়েছেন সব ফেরত দিন। পুজোর সঙ্গে রাজনীতিকে মিশিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাবেন না। এমনকি ওই পূজোর সঙ্গে যুক্ত যারা, তারা যদি সরকারের কোনও অনুদান দেওয়া প্রকল্পের সুযোগ পান সেগুলো ফেরত দিন। তারপর পুজোর টাকা ফেরত দেওয়ার নাটক করবেন।

 

Previous articleরাজ্যের বদলে মিলল শুধু জেলা! লাদাখ নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে বাড়ছে ক্ষোভ
Next articleহোটেলে কোন ‘ছাত্রনেতা’? পুলিশের ভিডিওতেই প্রকাশ্যে আন্দোলনের মিথ্যাচার