শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জমায়েতে ‘না’, কলকাতা পুলিশের নির্দেশে আদালতে বামেরা!

২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬০ দিন অর্থাৎ ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন তিনি

আর জি কর নিয়ে আন্দোলনে শহরের রাস্তা গত একমাসের বেশি সময় ধরে বারবার মিটিং মিছিল জমায়েতে সরব হয়েছে। তার মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে নাশকতার চেষ্টাও রুখেছে কলকাতা পুলিশ। এরই মধ্যে পুজোর মরশুমে একাধিক পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারী ও পুজোর মরশুমে বাইরে বেরোনো মানুষের নিরাপত্তায় শহরের ধর্মতলা (Dharmatolla), বউবাজার (Baubajar), হেয়ার স্ট্রিট (Hair Street), এসপ্ল্যানেডের (Esplanade) মত গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)।

কলকাতার পুলিশ কমিশনার নিযুক্ত হওয়ার পরে মনোজ ভার্মা (Manoj Verma) আর জি কর হাসপাতালের নিরাপত্তা নিজে সরেজমিনে তদারক করেছেন। সেই সঙ্গে শহরের নিরাপত্তা বিধানেও সচেষ্ট নতুন সিপি (CP)। সেই প্রক্রিয়ায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬০ দিন অর্থাৎ ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন তিনি। এইসব এলাকায় পাঁচজনের বেশি জমায়েত বা কোনও ধরনের লাঠি বা ধারালো অস্ত্র নিয়ে যাতায়াত করা যাবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

তবে বামেরা যে দুর্গাপুজোর মরশুমে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত নয়, তা ডিওয়াইএফআই (DYFI) নেতা কলতান দাশগুপ্তর ঘটনাতেই প্রমাণিত। এবার সিপির নির্দেশিকার বিরোধিতা করে এই পরিস্থিতিতে জমায়েতের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ সিপিআইএম (CPIM)। শুক্রবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।