এবার উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) হলদওয়ানির একটি নামী স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী গণ ধর্ষণের (Gang-Raped) শিকার। দিল্লির একটি হোটেলে মহারাষ্ট্রের তিনজন সহ পাঁচজন ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করেন, গত ৪ অক্টোবর স্কুলে যাওয়ার পথে সে নিখোঁজ হয়।তারপরই নিখোঁজের একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। গতকাল নির্যাতিতাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

দিল্লি পুলিশ(Delhi police) সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪ অক্টোবর স্কুল থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় কিশোরী। তার বাবা স্থানীয় থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সেই অভিযোগ পেয়েই কিশোরীর খোঁজে নামে পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, কিশোরীকে শেষ দেখা গিয়েছিল হলদওয়ানি স্টেশনে। সেখানকার সিসিটিভি(cctv) ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ।সেই ফুটেজে দেখা যায় দিল্লিগামী একটি ট্রেনে উঠছে কিশোরী। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।হলদওয়ানি পুলিশ যোগাযোগ করে দিল্লি পুলিশের সঙ্গে। সেখানেও কিশোরীর খোঁজে তল্লাশিতে নামে পুলিশ।

দিল্লি স্টেশনের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়।দেখা যায়, একটি গাড়িতে করে পাঁচ যুবক এবং ওই কিশোরী যাচ্ছে।এরপরই সেই সূত্রে ধরে গাড়ির সন্ধান পায় পুলিশ।গাড়িচালক কোথায় ওই কিশোরীকে নামিয়েছিল, সেই এলাকাও জানতে পারে পুলিশ। তার পরই হোটেলের খোঁজ পাওয়া যায়। সেই হোটেল থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে হলদওয়ানিতে নিয়ে আসা হয়। কিশোরীর কাউন্সেলিং করানোর সময় গণধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তার পরই হলদওয়ানি পুলিশ আবার দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। দিল্লি পুলিশ আবার সেই হোটেলে গিয়ে পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে তিন জন মহারাষ্ট্রের এবং দু’জন দিল্লির বাসিন্দা।

জানা গিয়েছে, বাড়িতে কাউকে না বলেই দিল্লিগামী ট্রেনে উঠে পড়েছিল দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী। তার বাড়ি উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানিতে। ট্রেনেই তার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় পাঁচ যুবকের। অভিযোগ, ওই যুবকেরা কিশোরীকে ভুল বুঝিয়ে তাদের সঙ্গে নিয়ে যান। দিল্লির একটি হোটেলে ওঠেন তারা। অভিযোগ, সেই হোটেলেই কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়।
