ভোররাতে হালকা ঠাণ্ডার আমেজ (Winter) চোখ টেনে নিয়ে যাচ্ছে ক্যালেন্ডারের দিকে। এক সপ্তাহ পরেই নভেম্বরের সূচনা। শীত পড়বে কবে? দুর্গাপুজোর পর থেকে আচমকা বদলে যাওয়া আবহাওয়া (Change of Weather) ইঙ্গিত দিতে শুরু করেছে। মঙ্গলের সূর্যোদয়ের আগে থেকেই বাতাসে বেশ শিরশিরানি ভাব অনুভূত হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপেই বাংলায় আসার গতি বাড়ালো উত্তুরে হাওয়া। দীপাবলিতে হালকা চাদর কিংবা স্কার্ফ জড়িয়েই নিশিযাপনের আভাস মিলছে। কলকাতার (Kolkata Weather) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামল ২৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলায় আরও পারদ পতন। শীত আসছে!

শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ডানা (Dana)। আবহাওয়া দফতর বলছে, বুধবার থেকেই মেঘ ঢুকতে শুরু করবে বাংলার আকাশে। বাড়বে বৃষ্টির সম্ভাবনা। এখনও পর্যন্ত যা গতি প্রকৃতি তাতে আগামী ২৪ অক্টোবর মাঝরাতে বা শুক্রবার ভোরের দিকে পুরী ও সাগরদ্বীপের কাছে ধামরা বন্দরের কাছে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে। গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারের কাছাকাছি। হাওয়া অফিসের অনেকেই মনে করছেন, নিম্নচাপের কারণেই উত্তুরে হাওয়া তার গতিবেগ বৃদ্ধি করেছে। এর জেরে সোমবার রাত থেকে জেলায় জেলায় কমেছে তাপমাত্রা। সপ্তাহ জুড়ে এই আমেজ বজায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভোরের দিকে হালকা শিরশিরানি অনুভূতি থাকছে। বেলা বাড়লে রোদ ঝলমলে পরিষ্কার আকাশে গরমের দাপট ততটা নেই। দিনভর মেঘ-রোদের লুকোচুরি চলবে, যার জেরে কিছুটা হলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে বলেই মত আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Alipore Weather Department)। পুরুলিয়ার তাপমাত্রার পারদ নামল ২০ ডিগ্রিতে। বাঁকুড়াতেও হালকা শীতের আমেজ উপভোগ করছেন জেলার মানুষ। উত্তরবঙ্গে পরিষ্কার আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা মেলায় খুশি পর্যটকরা। আগামী দুদিন উত্তরের ৫ জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
